পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘ডাইস’ কোডের তালিকায় এ রাজ্যের এমএসকে-এসএসকে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বলে চিহ্নিত করল কেন্দ্র সরকারের শিক্ষামন্ত্রক।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা কোড নম্বর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটার পোষাকি নাম ‘ইউ ডাইস কোড’। এই কোড উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট আধিকারিকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে প্রতিষ্ঠানের অবস্থান অনুযায়ী তাদের ম্যানেজমেন্ট কোড প্রদান করে থাকে।
গভর্নমেন্ট এইডেড, গভর্ণমেন্ট স্পন্সর্ড, সৈনিক স্কুল, রেলওয়ে স্কুল, স্কুল শিক্ষা দফতরের এসএসকে-এমএসকে মাইনরিটি ডিপার্টমেন্ট, মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্র, (এমএসকে, এসএসকে) প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন কোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
মাইনোরিটি ডিপার্টমেন্টের অধীনে পরিচালিত মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রগুলি সংশ্লিষ্ট দফতরের নির্ধারিত ৮৯ কোড ব্যবহার করতে পারেনা। তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ১৩ সংখ্যক কোড। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ অব স্কুলস নাম দিয়ে যে কলাম যোগ করা হয়েছে সেখানে এই ১৩ কোড সংখ্যাকে গ্রুপ ‘সি’ দেখানো হয়েছে, যার অর্থ এগুলো প্রাইভেট আনএডেড।
আদতে মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রগুলো প্রাইভেট নয়, রীতিমতো ডিরেক্টর অব মাদ্রাসা এডুকেশনের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর থেকে নির্দিষ্ট হারে বেতনও পান এখানে কর্মরত শিক্ষাকর্মীরা।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টা তাঁর এক্তিয়ারভূক্ত নয় বলে তিনি জানালেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরতদের উদ্বিগ্নতা কমেনি। প্রাইভেট আনএডেড দেখানোর কারণে একাধিক বিডিও মিডডে মিল দিতেও অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
এই সমস্যার সমাধান যাতে করা যায়, তার জন্য রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের কাছে আর্জি জানান এমএসকে-এসএসকে শিক্ষকরা। সংখ্যালঘু দফতরের উদ্যোগ নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রগুলোর জন্যে ৮৯ সংখ্যক কোড ব্যবহার করার ব্যবস্থা করলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে বলে তাঁরা মনে করেন।
এদিকে এমএসকে-এসএসকে শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অধিকাংশই ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনও পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। শিক্ষকরা যাতে বেতন পান এবং এই সমস্যার সমাধান পান, তার আর্জিও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।