পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহিলা হোক কিংবা পুরুষ একজন বিচারপতিকে ‘মি লর্ড’, ‘ইয়র অনার’ না বলে স্যর বলে সম্বোধন করা উচিৎ, এমনটাই জানালেন গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সোনিয়া গোকানি। একজন বিচারপতিকে ‘মি লর্ড’ বা ‘ইওর অনার’ বলে সম্বোধন করা উচিৎ কিনা, সেই বিতর্কে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি গোকানি।
প্রসঙ্গত, গুজরাত হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি গোকানি ও বিচারপতি সন্দীপ এন ভাট-এর এজলাসে শুনানি চলার সময় আইনজীবী একাধিক বার বিচারপতিকে ‘ইওর লেডিশিপ’ বলে সম্বোধন করতে থাকেন। সেই সময় প্রধান বিচারপতি গোকানি বলেন, মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে একজন বিচারপতিকে স্যর বলেই সম্বোধন করা উচিৎ।
প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই আইনজীবী তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, তার এই দুই বিচারপতি দ্বয়ের এজলাসে ‘একজন বিচারপতিকে’ এইভাবে সম্বোধন করার অভিপ্রায় তার ছিল না। আইনজীবী আরও বলেন, তার উচিৎ ছিল বেঞ্চকে ‘ইয়র লর্ডশিপস’ বলে সম্বোধন করা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অনেক সময় সাধারণ আইনে আমরা পুরুষ বা স্ত্রী বিচারপতিকে সম্বোধন করার জন্য স্যর বা ম্যাডাম বলে থাকি। কিন্তু এক্ষেত্রে ‘মিলর্ড’ বা ‘ইওর অনার’ বলার চেয়ে ‘স্যর’ বলাই যুক্তিযুক্ত।
বর্ষীয়ান আইনজীবী মিহির ঠাকুর বলেন, একজন মহিলা বিচারপতিকে ‘হার লেডিশিপ’ বলে সম্বোধন সঠিক পদ্ধতি নয়, সেক্ষেত্রে ‘মাই লেডি’ বলে সম্বোধন করা যেতে পারে। সেই সময় প্রধান বিচারপতি গোকানি পূর্বের একটি শুনানির কথা স্মরণ করে বলেন, ‘জাতীয় বিচারক অ্যাকাডেমিতে একবার বিচারপতিকে কি বলে সম্বোধন করা উচিৎ তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই সময় বিচারপতিরা বিশ্বাস করতেন ‘ইওর লর্ড’ বলাই শ্রেয়। কিন্তু তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায় সেই সময় বলেছিলেন, অধিকাংশ আইনজীবী বিচারপতিদের ‘স্যর’ বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন