পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সমাজকর্মী ও প্রাক্তন আইএএস হর্ষ মান্দারের বাড়ি ও অফিসে শুক্রবার সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে মান্দারের পাশে দাঁড়িয়ে ২৫০ জনের বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিবৃতি দিয়ে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের মত, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে হর্ষ মান্দারকে এভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সমালোচনা করলেই এভাবে এজেন্সি লেলিয়ে দিচ্ছে। মান্দারকে অপদস্থ করাও সেই ‘উইচ হান্ট’-এর অংশ। তাকে যেকোনওভাবে ফাঁসানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এজেন্সি। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সামজিক সংগঠনের নেতৃত্ব এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। কবিতা শ্রীবাস্তব, ভি সুরেশ, নিখিল দে, ড. সৈয়দা এস হামিদ, অপূর্বানন্দ, জেন দ্রেজ প্রমুখ বিশিষ্টরা এতে স্বাক্ষর করে বিবৃতির পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, কয়েক বছর থেকেই এজেন্সির নিশানায় পরিণত হয়েছেন মান্দার। ইনকাম ট্যাক্স, ইডির পর এবার সিবিআই হানা দিল তার বাড়িতে। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করে মান্দার চাকরি ছেড়েছিলেন।
এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (এফসিআরএ) লঙ্ঘন করেছেন। হর্ষ মান্দারের বেসরকারি সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকুইটি স্টাডিজ’-এর বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারি সিবিআই বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে। এর দু’দিন পরই তল্লাশি হয়। মান্দার জানিয়েছেন, এই ঘটনা আমাকে আরও দৃঢ়তা দান করেছে। আমার জীবন, কাজ ও লেখালেখিই এর উত্তর। হর্ষ মান্দারের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগে, তার সংস্থা ৩২ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা তছরুপ করেছে।
প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ট্যুইটারে লেখেন, সিবিআই হর্ষের বাড়ি ও কার্যালয়ে তল্লাশি করেছে। দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি সরকারের সমালোচক। সেটাই আক্রমণের উদ্দেশ্য। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে সরকারের সব সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।