পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চারশো পারের স্লোগান মুখ থুবড়ে পড়েছে। ছুঁতে পারেনি ম্যাজিক ফিগারও। কোনওভাবে শরিকদের মেহেরবানীতে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। রবিবার শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। তবে শুধু মোদি নয়, সেদিন আরও ৭১ জন মন্ত্রী শপথগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৭ জন মহিলা নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছ। যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম। ২০২১ সালে রদবদলের পর ১১ জন মহিলা সাংসদ মন্ত্রী হয়েছিলেন।
সেইসময় মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ছিল ৭৮ জন। আর মহিলা অংশগ্রহণের হার ছিল ১৪ শতাংশ। এবার সেই হার কমে হয়েছে ১০ শতাংশেরও কম। রবিবার সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে বাদ পড়েছে স্মৃতি ইরানি-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার গড়লেও লোকসভায় এ বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি মোদির দল। তাই মন্ত্রিত্বের ক্ষেত্রে শরিকদের চাহিদাও মেটাতে হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়াও এ বার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন ভারতী পওয়ার, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, দর্শনা জরদোশ, মিনাক্ষী লেখি এবং প্রতিমা ভৌমিক।
মোদির তৃতীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়েছে যে সাত জন মহিলার, তাঁরা হলেন
নির্মলা সীতারামন: এর আগের মন্ত্রিসভায় নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। টানা তিনবার ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন। তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হননি। নির্মলা সীতারামনকে রাজ্যসভার সদস্য করেছে বিজেপি।
অন্নপূর্ণা দেবী: ওবিসি সম্প্রদায়ের নেত্রী অন্নপূর্ণা। ঝাড়খণ্ড এবং অবিভক্ত বিহারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। আগে আরজেডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির সংগঠন তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সাবিত্রী ঠাকুর: মোদি মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী হিসাবে রবিবার শপথ নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী নেত্রী সাবিত্রী ঠাকুর। এ বারের নির্বাচনে ধার কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন।
নিমুবেন বামভানিয়াঃ গুজরাতে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়া তিন মহিলার একজন নিমুবেন বামভানিয়া। রবিবার তাঁকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিজেপির নারী মোর্চা রাজ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
রক্ষা খডসেঃ মহারাষ্ট্রের তিন বারের সাংসদ রক্ষা খডসে রবিবার প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তিনি প্রাক্তন বিজেপি নেতা একনাথ খডসের নাতনি। মহারাষ্ট্রের রাবের কেন্দ্র থেকেই এ বারও তিনি ভোটে লড়েছিলেন। জিতেছেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
শোভা কারনদলাজঃ কর্নাটকের বিজেপি নেত্রী শোভা কারনদলাজে আগের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। তিনি কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কর্নাটকের তিন বারের সাংসদ তিনি।
অনুপ্রিয়া প্যাটেলঃ অনুপ্রিয়া প্যাটেল আবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে ফিরেছেন। কুর্মি সম্প্রদায়ের এই নেত্রী প্রয়াত নেতা ও আপনা দলের প্রতিষ্ঠাতা সোনিলাল প্যাটেলের মেয়ে। অনুপ্রিয়া আগের সরকারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।