পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চিনকে নিয়ে এখন আর ঠাট্টা করা যাবে না। কারণ এশিয়ার এই দেশটিই এখন প্রতিরক্ষা ও অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির থেকেও এগিয়ে গিয়েছে। চিনের একমাত্র শাসক দল কমিউনস্ট পার্টিও তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। কমিউনিস্টরা দলের ১০০তম প্রতিষ্ঠা দিবস সাড়ম্বরে উদযাপন করেছেন। লাল চিনের জন্মদিবসে দুশমনদের কঠোর সতর্কতা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর সেদিনই স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে দেখা গিয়েছে কোনও এক মরু অঞ্চলে ১১৯টি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রকে মাটির তলায় লুকিয়ে রাখতে বিশেষ চেম্বার নির্মাণ করছে চিন। এই রিপোর্ট পেয়ে আমেরিকাও নড়েচড়ে বসেছে। বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযাগিতা শুরু হওয়ায় যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে সেটিকে বাস্তবিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে চিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা। পেন্টাগন বলছে, এ ধরণের পরমাণু অস্ত্র মজুদ করে রাখা আশঙ্কাজনক। উপগ্রহ চিত্র পেয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম চিনের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের খবর প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে লেখা হয় চিন তাদের সর্বশেষ পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারে ১১৯টি পরমাণু বহনকারী ব্যালিস্টিক মিসাইল যোগ করেছে। এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক জেমস মার্টিন উপগ্রহ চিত্র ঘেঁটে মিসাইলগুলির জন্য বিশেষ চেম্বার নির্মাণের কথাটি নিশ্চিত করেন। জানা গিয়েছে, চিনের গানসু প্রদেশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চুপিসারে এই নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছে। আর দ্রুতগতিতে চিনের পরমাণু শক্তির বৃদ্ধির এই খবরে চরম উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে। বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধির ঘটনা গোপন করা চিনের জন্য কঠিন। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশকের পরমাণু কৌশল থেকে সরে এসেছে বেজিং।’
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, চিনের পশ্চিমাঞ্চলীয় মরু অঞ্চলে নতুন করে শতাধিক আন্তঃমহাদেশীয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সিলো বা চেম্বার নির্মাণ করা হচ্ছে। নেড প্রাইস বলেন, এই প্রতিবেদন ও অন্যান্য পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে যে, চিনের পরমাণু অস্ত্রাগার দ্রুতই সম্প্রসারিত হচ্ছে। আগে যা কল্পনা করা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি পরমাণু অস্ত্র বাড়াচ্ছে তারা। এভাবে অস্ত্র বৃদ্ধি উদ্বেগের। এতে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।