পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পানি সংকটে রয়েছে রাজধানীর ৪০ শতাংশ মানুষ। কিয়েভের বিভিন্ন রাস্তায় পানির জন্য লম্বা লাইন দেখা দিয়েছে। সোমবার কিয়েভে রুশ হামলার পর শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেন জানিয়েছে; দেশব্যাপী হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছে। রাশিয়া বলছে; ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং সব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।
সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন; গত সপ্তাহে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই জবাব দেওয়া হয়েছে। ক্রিমিয়ায় মস্কোর নৌবহরে ড্রোন হামলার পলটা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডে হামলা চালানো হয়েছে।
পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের শস্য রফতানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। পুতিন বলেন; রাষ্ট্রসংঘের চুক্তির অধীনে শস্যবাহী জাহাজগুলো যে পথ ব্যবহার করেছে; ইউক্রেনের ড্রোনগুলোও একই সামুদ্রিক করিডর ব্যবহার করে মস্কোর নৌবহরে হামলা চালিয়েছে। আরও কিছু করতে পারতাম উল্লেখ করে পুতিন জানান; ইউক্রেনকে অবশ্যই নিশ্চয়তা দিতে হবে; এ শস্য রফতানির কারে অসামরিক জাহাজ বা রাশিয়ান কার্গো জাহাজের জন্য কোনও হুমকি থাকবে না। তবে কিয়েভ এ হামলার কোনও দায় স্বীকার করেনি এবং সামরিক উদ্দেশ্যে শস্য কর্মসূচির নিরাপত্তা করিডর ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে।
সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে এক যোগে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে; রুশ বাহিনী সোমবার অন্তত ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে গোলাবর্ষণ করে। এতে জলবিদ্যুৎ বাঁধ; জ্বালানি অবকাঠামো-সহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ; তাপ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রাধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন; সোমবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের ১০টি অঞ্চলের ১৮টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়; যেগুলোর বেশিরভাগই ছিল জ্বালানি বিষয়ক। উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনহুবভ বলেন; সোমবারের হামলার পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ শহরের ১ লক্ষ ৪০ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন। তবে ইউক্রেনের সেনা দাবি করছে; তারা ৫০টি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এর মধ্যে ৪৪টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে।