পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্রের চোখে জল, সেই মুহূর্ত টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে কাঁদলেন সারা বিশ্বের অগুনিত মেসি অনুরাগী।
পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়েই কান্নায় ভেঙে পড়লেন লিওনেল মেসি। তাঁর স্মৃতির শহর আর প্রিয় বার্সেলোনা এফসিকে বিদায় বলতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু পারলেন কই। তাঁর চোখের জল আর মুখের কথায় যেন ফুটে উঠেছে প্রিয়জন হারানোর শোক। সতীর্থদের চোখও ছলছল। মেসির বিদায়ি বক্তৃতা ও পরের আলিঙ্গন মিলিয়ে পুরোটাই যেন এক শোকসভা।
সেই ১৩ বছর বয়স থেকে তাঁর সখ্য এই ক্লাবের সঙ্গে। তাঁর শরীরে হরমোনের অভাব ধরা পড়ায় দীর্ঘদিন তাঁকে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল। একসময় তাঁর বাবার পক্ষে আর্জেন্টিনায় সেই চিকিৎসা চালানো কঠিন পড়ে এবং বার্সেলোনা পাশে দাঁড়ায় এই আর্জেন্টাইনের। ক্লাব দিয়েছিল তাঁর হরমোন চিকিৎসার গ্যারান্টি আর তাঁর তরফে ছিল ক্লাবের স্বপ্ন সত্যি করার প্রতিশ্রুতি।
লা মাসিয়ায় বেড়ে ওঠার সময় তাঁর পায়ের জাদুকরী খবর চাউর হতে থাকে। একাডেমি দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে তাঁর অভিষেক হয় মূল দলে। এর পর থেকেই ফুটবলবিশ্ব আস্তে আস্তে মোহাবিষ্ট হয় খুদে জাদুকরে। তিনি হয়ে ওঠেন ক্লাবের সাফল্যের মহানায়ক।
বার্সেলোনাকে উপহার দিয়েছেন ১০টি লা লিগাসহ ৩৫টি শিরোপা। বার্সার জার্সিতে ২১টি বছর রাঙিয়েছেন গোলের আনন্দে। ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড ভেঙেছেন, লা লিগায়ও শীর্ষ গোলদাতার রেকর্ড গড়েছেন। বার্সেলোনায় এই গোলের ম্যাজিক দেখিয়ে নিজে হয়েছেন ছয়বারের বিশ্বসেরা।এত দেওয়ার পরও মেসিকে ছাড়তে হবে বার্সেলোনা। রুদ্ধ হয়ে আসা গলায় মেসি বলেন আমার সন্তানরাও বেড়ে উঠেছে কাতালন- আর্জেন্টাইন হিসেবে।