পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর এলাকার পঞ্চাশ বছরের এক মুসলিমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যক্তির পরিবার তাকে শনাক্ত করে। জানা গেছে, মৃতের নাম খুরশেদ আহমদ ওরফে পাপ্পু। খুরশেদের পরিবারের অভিযোগ, লিঞ্চ করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। যদিও পুলিশ লিঞ্চিং-এর দিকটি অস্বীকার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অবহেলার কারণে মৃত্যু) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ২২ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল খুরশেদ। তার পরিবার অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি। খুরশেদের বন্ধু আজমত জানিয়েছেন, মানসিকভাবে স্থিতিশীল না হওয়া সত্ত্বেও সে কাউকে উত্যক্ত করত না। বিকেল ৫টায় সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, তারপর আর ফেরেনি। এরপর তার পরিবার সুলতানপুর জেলা হাসপাতালে যায়, কারণ এখানে সে প্রায়শই যেত নবজাত শিশুদের কানে আজান দেওয়ার জন্য। খুরশেদের ভাই জাহিদ আহমদ বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে খুরশেদের মৃতদেহ সেখানে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালজি নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক খুরশেদের পরিবারকে জানায় যে, পিডব্লিউডি অফিসের কাছ থেকে ক্ষতবিক্ষত খুরশেদকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল সে।
লালজি জানিয়েছে, ২২ জুন সে হাসপাতালের বাইরে বসেছিল। তখন এক বাইক আরোহী হাজির হয়ে এক ক্ষতবিক্ষত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলে। তার কথা মতো সে পিডব্লিউডি অফিসের কাছে যায় এবং দেখে যে, আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক, রক্তে ডুবে রয়েছে তার শরীর, তবে তখনও দেহে প্রাণ ছিল। লালজির কথায়, মোট তিনজন লোক ছিল। তাদের মধ্যে দুইজন বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। লালজি তৃতীয়জনের পিছু নেয়। পুলিশ ও পরিবারের দেওয়া তথ্য মোতাবেক, ক্ষতবিক্ষত খুরশেদকে যে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল তার নাম অংশুমান পান্ডে। হাসপাতালের রেজিস্টারেও তার নাম রয়েছে। সে হিমাংশু পান্ডের ভাই।
খুরশেদের ভাই জানিয়েছে, পুলিশ তাদের বলেছে যে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে হিমাংশু পান্ডে খুন করেছে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ চাইলে পুলিশ তা দিতে অস্বীকার করে। মৃতের পরিবারের সন্দেহ, লিঞ্চ করে খুন করা হয়েছে খুরশেদকে। খুরশেদের ছোট ভাই আনোয়ারের বক্তব্য, খুরশেদকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয়ের কারণে। এই ঘটনায় পুলিশের অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এর তদন্ত ও বিচার কতটা নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ নানা মহলে।