পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে পুনরায় নতুন উদ্যমে চালু হল স্টুডেন্ট হেলথ হোম। এতে বাংলার ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসা পরিষেবা আরও অনেকটা সহজতর ও সাশ্রয়ী হল। ছাত্র সমাজের সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাখাতের খরচ বহন করার দৃঢ় মনোভাব নিয়ে ১৯৫২ সালে কলকাতার শিয়ালদা রেলস্টেশনের নিকটবর্তী মৌলালিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্টুডেন্টস হেলথ হোম।
এখানে ন্যূনতম খরচে শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। শুধুমাত্র সার্বিক স্থিতিবস্থার কথা বিবেচনা করে স্টুডেন্টস হেলথ হোম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই যৎসামান্য মূল্য নিয়ে থাকে।
স্টুডেন্টস হেলথ হোম-এর সাধারণ সম্পাদক পবিত্র গোস্বামী বলেন, ইতিমধ্যে স্টুডেন্টস হেলথ হোমের আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সামান্য যে আয় হবে, তা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার তাতে ব্যবহার করা হবে।
এখানে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে ছাত্র সমাজ ও বহু মানুষ উপকৃত হবেন। তাছাড়া স্টুডেন্টস হেলথ হোম-এর সদস্য-পড়ুয়ারা এতদিন পর্যন্ত যে অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করেছেন তা অপরিবর্তিত থাকবে। শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্টস হেলথ হোম থেকে চিকিৎসা বীমার সুবিধাও পাবেন। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনও অসাধু, লাভজনক অভিসন্ধির বা অনৈতিক খরচের সুযোগ নেই।
পবিত্র গোস্বামী আরও জানান, এখানে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বহু শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্যান্সার, বিকৃত আঘাত বা প্রাণঘাতী সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভ করে থাকে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের নিরাময় হয়েছে।
এখানে রোগ সংক্রান্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক খরচও খুব সামান্য। ভর্তি থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন শিক্ষার্থী পিছু মাত্র ৩০ টাকা এবং ওষুধের জন্য ১০ টাকা চার্জ করা হয়। তাঁর বক্তব্য, স্টুডেন্টস হেলথ হোম দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহক। এটি গড়ে তোলার পিছনে রয়েছে অসংখ্য পড়ুয়া ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগ। তাই এ রাজ্যের স্টুডেন্টস হেলথ হোম বাংলা ও বাঙালির গর্ব।