বিশেষ প্রতিবেদন: চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রসূতি ইউনিট। দেশটিতে জন্মহার আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জিয়াংসু এবং গুয়াংডং এর পাশাপাশি ঝেজিয়াং প্রদেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রসূতি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা বেড সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালে চিনের জন্মহার রেকর্ড সর্বনিম্নে নেমে যায়। ওই বছর ৯৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছিল। ২০২১ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কম। এর মানে হল ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা চিনে জনসংখ্যাগত সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে। চলতি বছর ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে চিনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। চিনা কর্মকর্তারা জন্মহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছেন। দেশটিতে ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি বাতিল করা হয়। পরিবারগুলোকে এখন তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিছু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিশুদের জন্য নগদ ভর্তুকিও প্রদান করছে। কিন্তু তারপরও তরুণরা ক্রমবর্ধমানভাবে সন্তান লালন-পালনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এপ্রিল মাসে গুয়াংসি প্রদেশের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, জেলায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তারা প্রসূতি ও গাইনোকোলজি ইউনিটে প্রসব করানো বন্ধ করবে। গত মাসে পূর্বাঞ্চলীয় শহর নিংবোর ইনঝু জেলার এক হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা আর মাতৃত্ব রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করবে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলো প্রসূতি পরিষেবাগুলো বন্ধ করার জন্য কর্মী সংকটকে দায়ী করেছে। তথ্যানুসারে, হুইঝোতে দু’টি ক্লিনিক এবং গুয়াংজুতে একটি ক্লিনিক প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সংকটের কারণে মাতৃস্বাস্থ্য ওয়ার্ড বন্ধ করে দিয়েছে।