নয়াদিল্লি, ৯ মার্চ: ভারতে এসেছেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। ভারতে এসেই মালদ্বীপ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। ‘ভারত বর্জন’ নীতির ফলে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প নিয়েও অশনি সংকেতের কথা বলেছেন মোহাম্মদ নাশিদ। গত শুক্রবার তিনি বলেন, “মালদ্বীপের জনগণের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি।” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাশিদ বলেন, ‘এটি মালদ্বীপকে অনেক প্রভাবিত করেছে। আমি এখন ভারতে আছি। আমি এটা নিয়ে খুব চিন্তিত। আমি বলতে চাই মালদ্বীপের মানুষ এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। আমরা দুঃখিত এমনটা ঘটেছে। আমরা চাই ভারতীয় জনগণ মালদ্বীপে ঘুরতে আসুক। আমাদের আতিথেয়তায় কোন পরিবর্তন হবে না।’
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ মার্চের ডেডলাইন দিয়েছিল নয়া প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জু সরকার। দেশটির বর্তমান সরকার চিন-ঘনিষ্ঠ। সেজন্যই ভারতের কোনওরকম ‘খবরদারি’ তারা চাইছে না বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। মালদ্বীপে মোট ৮৮ জন ভারতীয় সেনা সরাতে বলা হয়। স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর এই সেনারা সে দেশকে দেওয়া ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টার পরিষেবার তদারক করেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজ চালান এবং দুর্গম দ্বীপগুলোয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করে থাকেন। গত বছরের নির্বাচনে মোহাম্মদ মুইজ্জু দ্বীপপুঞ্জটির ক্ষমতায় আসেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা চালিয়ে। ক্ষমতায় আসার পরপরই শুরু হয় তার নেতৃত্বে ‘ভারত বর্জন’ নীতির বাস্তবায়ন। এরপরই শুরু হয় ভারত-মালদ্বীপের কূটনৈতিক টানাপোড়েন।
মালদ্বীপের পর্যটন খাতে ভারতীয় পর্যটকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা ভ্রমণের জন্য মালদ্বীপ বর্জন করার নীরব প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন। আর দেশটির অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত পর্যটন। এদিন তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি যখন ভারতীয় সেনাদের চলে যেতে বলেছেন তখন ভারত কী করেছিল জানেন? তারা তাদের অস্ত্র ধরেনি। তারা পেশীশক্তিও দেখায়নি। কেবল মালদ্বীপ সরকারকে বলেছিল, ঠিক আছে, আসুন আলোচনা করা যাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি মুইজ্জু কিছু সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিলেন। প্রধানত রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার মনে করে আরও টিয়ার গ্যাস এবং আরও রাবার বুলেট দরকার। আসলে বন্দুকের নল দিয়ে শাসন করা যায় না।’