রেজাউল করিম, মোথাবাড়ি: হাই মাদ্রাসায় রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম মালদার সাদিয়া সিদ্দিকা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৯৭। এই খবরে খুশি গোটা জেলাবাসী। এদিন দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে এই খবর জানতেই সাদিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে। রাজ্যে হাই মাদ্রাসার মেধা তালিকায় মোট ৩৫ জন রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম সহ ১২ জনই মালদার।
যদিও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে– এবার হাই মাদ্রাসা– আলিম ও ফাজিলে সবাই উত্তীর্ণ। পাশের হার ১০০ শতাংশ। হাই মাদ্রাসায় ১১ হাজার ৫১৫ জন পরীক্ষার্থী ছিল। আলিমে ১ হাজার ৪৫৯ এবং ফাজিলে ৮১৩ জন। হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় মোট ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৭৯৭ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য রাজ্যে প্রথম সাবিয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলা– অঙ্ক– ভৌত বিজ্ঞান– জীবন বিজ্ঞান ও ইসলাম পরিচয়ে ১০০ করে এবং বাকি ইংরেজি– ইতিহাস ও ভূগোলে ৯৯ করে পেয়েছে সে।
সাদিয়া সুজাপুর নয়মৌজা সুভানিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। তার আব্বা মহম্মদ রুহুল ইসলাম স্থানীয় বালুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সাদিয়ারা দুই ভাইবোন। ভাই রিফাত ইসলাম তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে সাদিয়ার। ইতিমধ্যে সাঁতরাগাছি আলআমিন মিশনে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে শুরু করেছে সে। সুজাপুর নয়মৌজা সুবহানিয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আদিল হোসেন বলেন– সাদিয়া গোটা রাজ্যে আমাদের জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে। আমাদের স্কুলের নাম তুলে ধরেছে। আমরা তার ফলাফলে খুশি। জানা গেছে– আলিমে রাজ্যে ৩ জন প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মোট ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৯৬ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে তারা। ফাজিলে ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৫৭৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছে একজনই। রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন বলেন– ‘হাই মাদ্রাসায় ১১ হাজার ৫১৫ জন পরীক্ষার্থী। ৬৮ শতাংশ ছাত্রী এবং ৩২ শতাংশ ছাত্র। সবাই উত্তীর্ণ। আলিম ও ফাজিলে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৪৫৯ এবং ৮১৩। সকলেই উত্তীর্ণ। এবার কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।’