মুম্বাই, ৪ ডিসেম্বর: চার রাজ্যে গেরুয়া ঝড় দেখে ব্যাপক চাপে পড়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। দাপট বাড়াচ্ছে বিজেপি। কপাল পুড়তে পারে শিন্ডের। এমনিতেই তাঁর ঘাড়ের কাছে শ্বাস ফেলছেন অজিত পাওয়ার। এখন বিজেপি চাইলেই তাঁকে ঘেঁটি ধরে নামিয়ে সেখানে বসাতে পারেন দেবেন্দ্র ফোড়ণবিশকে। শিন্ডের ভাবসাব দেখে আগেভাগেই বিজেপি বলেছে তারা মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দিকে তাকাচ্ছে না। কিন্তু শিবসেনা ভেঙে আসা একনাথ জানেন, রাজনীতিতে পাকাপাকি ঈমানদারী বলে কিছু হয় না। রাজনীতি হল সম্ভবনার শিল্প। বিজেপি যতই শিন্ডের পিঠ চাপড়ে তাঁকে ঠান্ডা করা চেষ্টা করুন না কেন, বিজেপির কর্মী সমর্থকরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছেন।
মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারাতে ছিল বিজেপির জনসভা। সেখানে ভাষণ দিচ্ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। তিনি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বলতে পারেন আগামী বিধানসভা ভোটে ওয়াংখেড় স্টেডিয়াম থেকে কে শপথ নেবেন? কর্মীরা চিৎকার করে বলে দেবেন্দ্র ফোড়ণবিশ।’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবসেনা (ইউবিটি) সভাপতি উদ্ধব ঠাকরেকে কটাক্ষ করে, বাওয়ানকুলে বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে একটি মাত্রই বাঘ আছে, তিনি হলেন ফোড়নবিশ।’ বিজেপি নেতারা বলতেই পারেন কর্মীরা তাদের ব্যক্তিগত মত দিতেই পারেন। তা দলের কথা নয়। কিন্তু একথা শুনে অনেকেই বলছেন আসলে কায়দা করে একনাথ শিন্ডেকে বিজেপি বুঝিয়ে দিল এবার যেন তিনি মহারাষ্ট্রের কুর্সির দিকে না তাকান। এসব দেখে যে কেউ বলতেই পারে। òআব তেরা কিয়া হোগা রে একনাথ।’
২০১৪ এর ৩১ অক্টবর থেকে ২০১৯ এর ১২ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে ছিল বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দেবেন্দ্র ফোড়ণবিশ। পরের বিধানসভা ভোটে উদ্ধব বলেন, চুক্তি মোতাবকে এবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। অমিত শাহ ভোটেরû আগে তাঁকে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে রাজি হয়নি বিজেপি। এনসিপির অজিত পাওয়ার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ভাঙিয়ে নিয়ে এসে ভোরবেলা শপথ নিয়েছিলেন ফোড়নবিশ। ২৩ ও ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছিল তাঁর সরকার। এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে জোট করেন উদ্ধব। একনাথ শিন্ডে দলবল নিয়ে বের হয়ে গেলে পরে যায় তাঁর সরকার।