পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলেন বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা।
হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ে নির্বাচনের শেষাপে ভোট গনায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুলা পান ৫০.৯ শতাংশ ভোট আর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো পান ৪৯.২ শতাংশ। এ নিয়ে ৩য় বারের মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন লুলা। বলসোনারোকে পরাজিত করে লুলার জয়কে অসাার রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কারাগারে থাকায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির ৭৭ বছর বয়সি জনপ্রিয় রাজনীতিক লুলা। ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনের সময় তার বিরুদ্ধে একাকি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও আবার রাজনীতিতে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিলেন লুলা। তার এ প্রত্যাবর্তন নতুন করে আশা জাগাচ্ছে জনগরে ভেতরে।
গত ২ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহ হয়। সেবার নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় ভোটাভুটি। লুলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে তার সমর্থকরা। পথে পথে মিছিল করতে দেখা যায় সাার মানুষকেও।
এ দিকে ভোটের এ ফল আসার পরপরই বর্তমান প্রেসিডেন্ট বলসোনারো একে জাালিয়াতি বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী লুলা দেশে শান্তি ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার দেওয়া বক্তব্যে তিনি আমাজনকে বাঁচিয়ে রাখার গুরুত্ব তুলে রেন। ৭৭ বছর বয়সি বামপন্থী এই নেতা বিজয়ী ভাষে বলেন; ‘আমি আজ বিশ্বকে বলতে চাই; ব্রাজিল ফিরে এসেছে। জলবায়ু; সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রাজিল তার অবস্থান ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে।’ বিশেষ করে আমাজন বন রক্ষায় ব্রাজিল কাজ করবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন; ‘বিভক্ত জাতিতে যুদ্ধের আবহে কেউ বাঁচতে চায় না।’
শুধু ভোটার নয়; ব্রাজিলের ২১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে জানান লুলা। ম্যারি আলভেস সিলভা (৫৩) নামের অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা বলেছেন; ‘আমি জিতেছি। এটা আমার জয়। অন্যদের মতো আমি আনন্দে কাঁদছি।’ তিনি আরও বলেন; আমাজন ও আদিবাসীদের জন্য লুলার জেতা প্রয়োজন ছিল।