পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। স্থানীয় সময় বুধবার ২৯ নভেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার এই সংবাদ জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। কিসিঞ্জারের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে তার নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসেই শতবর্ষ পার করেন হেনরি কিসিঞ্জার। কিন্তু এরপরও নানা কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তিনি হোয়াইট হাউসে মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন, নেতৃত্বের শৈলীর ওপর একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার সৃষ্ট পারমাণবিক হুমকি সম্পর্কে সিনেট কমিটির সামনে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ আকস্মিক সফরে বেইজিংয়ে যান।
১৯৭০-এর দশকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের অধীনে সেক্রেটারি অব স্টেট তথা বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হেনরি কিসিঞ্জারের প্রচেষ্টায় চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা, মার্কিন-সোভিয়েত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা, ইসরাইল এবং তার আরব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্প্রসারিত সম্পর্ক এবং উত্তর ভিয়েতনামের সঙ্গে প্যারিস শান্তি চুক্তি ছিল তার সেই কূটনৈতিক দক্ষতারই প্রমাণ। ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসা কিসিঞ্জার পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি হন। তিনি হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, কিসিঞ্জার একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট না হয়েও মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ওপর একটি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করেছিলেন।