পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ বনগাঁর পর বসিরহাটে বড়োসড় আন্দোলন শুরু হল লরির মালিক ও শ্রমিক সহ সাধারণ কর্মীদের।সম্প্রতি চালু হওয়া পরিবহন দফতর নতুন নিয়মে স্লড বুকিং এর মাধ্যমে লরি সরাসরি ডিটেনশন ছাড়াই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত থেকে সোজাসুজি যাবে বাংলাদেশে। ফলে বসিরহাট লোকাল লরির মালিকসহ আমদানি ও রপ্তানি সংস্থার সঙ্গে এর সাথে যুক্ত পাঁচ লক্ষাধিক শ্রমিক, চালক খালাসী, লোডিং আন লোডিং এর সঙ্গে যুক্ত পরিবহন সাধারণ কর্মীরা, কর্মসংস্থান হারাবে।
এরই প্রতিবাদে সীমান্তে এক্সপোর্ট- ইমপোর্ট এর সাথে যুক্ত কর্মীরা এক বৃহত্তর মিছিলের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে নামে। বৃৃৃহস্পতিবার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে পার্কিং এয়ারপোর্ট এক্সপোর্ট কুলি শ্রমিক চালক খালাসী সমন্বয় কমিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু করে। এদিন দুপুর থেকে, প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মাইকিং হাতে ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে মিছিল শুরু করে কয়েকশো শ্রমিক।
এই স্হল বন্দরে মোট ৮৩টা পার্কিং রয়েছে।প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক থাকে। যার সঙ্গে যুক্ত প্রায় সব বিভাগের প্রায় পাঁচ লক্ষ কর্মী। আন্দোলন কারীদের বক্তব্য সরকার যদি কোন রকম ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমাদের একদিকে জীবন জীবিকার রুজি রোজগার অন্যিদিকে পথে বসবে পরিবার। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করলে আমরা এই আন্দোলন আরো বৃহৎ থেকে বৃহত্তর করব। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে না সরে দাঁড়াবে। পাশাপাশি বিকল্পের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশিকা জারি করুক, তবে আমরা চাই বিকল্প কর্মসংস্থান হোক। আগামী ১আগস্ট থেকে এই পরিবহনের নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে।তার আগে আন্দোলনের পথে হাজার হাজার শ্রমিকরা।