পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল হত্যার ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর জাতীয় তদন্ত সংস্থা ‘এনআইএ’ বলেছে কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে হত্যাকারীদের যোগসূত্র নেই। এ ভাবে অপরাধীদের সন্ত্রাসী যোগসূত্র বিষয়ে রাজস্থান সরকার এবং ‘এনআইএ’র মধ্যে ভিন্ন মত প্রকাশ্যে এল।
একদিন আগেই রাজস্থান সরকার দাবি করেছিল, অভিযুক্ত দু’জনই আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেছিলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের পাকিস্তানের দাওয়াত-ইসলামী সংগঠনের যোগাযোগ আছে। ২০১৪ সালে ওই ব্যক্তি করাচিও গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট উদয়পুরে নিহত কানহাইয়ালালের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি কানহাইয়ালালের পরিবারের সদস্যদের সম্ভাব্য সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, একমাসের মধ্যে এই মামলায় দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করুক এনআইএ। এনআইএ’কে বোঝা উচিত রাজ্যের মানুষের সেন্টিমেন্ট কী? কানহাইয়াকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল কী না, কী ঘাটতি ছিল, সবই বেরিয়ে আসবে এনআইএ’র তদন্তে। এনআইএ’র তদন্তে আস্থা রাখা উচিত, তদন্ত সুষ্ঠু হবে, আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব। এ ঘটনা দেশকে নাড়া দিয়েছে।
এদিন, উদয়পুরে কানহাইয়ালালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আজমীর যান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি আজমীরের জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে আহত কনস্টেবল সন্দীপ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। বুধবার ভীম শহরে হামলার শিকার হন সন্দীপ। মুখ্যমন্ত্রী সন্দীপকে কনস্টেবল থেকে হেড কনস্টেবলে পদোন্নতি এবং ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
এদিকে, রাজ্য সরকার উদয়পুরের ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসএইচও এবং এসআইকে সাসপেন্ড করেছে, বাকি পুলিশ সদস্যদেরও সাসপেন্ড করা হতে পারে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট করার অভিযোগে গত ১১ জুন কানহাইয়ালালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ১২ জুন জামিন পাওয়ার পর ২৯ জুন তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগাতর সাম্প্রদায়িক পোস্ট করতেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে।