পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পাকিস্তান কোনওভাবেই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করবে না। তিনি দু’দেশের মধ্যে কোনপ্রকার চুক্তির কথা অস্বীকার করেছেন।
বুধবার পাকিস্তানের সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময়ে ইমরান খান ভারতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের জনগণের শোষণের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘গোটা পাকিস্তান সাহসী কাশ্মীরি, শিশু এবং যুবকদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। যতদিন ভারত ৫ আগস্টে গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রত্যাহার না করবে ততদিন কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হবে না।’
ইমরান খানের অভিযোগ, ওই সিদ্ধান্তের আগেও ভারত কাশ্মীরের জনগণের উপরে অত্যাচার চালিয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিক ইমরান খানকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভারতে মোদি ছাড়া অন্য কোনও সরকার থাকলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কী ভালো হত? এই প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, ক্ষমতায় আসার পরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং বলেছিলেন তাঁর ক্ষমতায় আসার একমাত্র উদ্দেশ্য পাকিস্তান থেকে দারিদ্র্যতা নির্মূল করা। এ জন্য ভারত পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক হওয়া প্রয়োজন, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।
ইমরান খান তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, ’নরেন্দ্র মোদির আরএসএসের মতাদর্শ প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এবং এ কারণে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত হতে পারেনি।’
ইমরান বলেন, ভারতে মোদি ছাড়া অন্য কোনও সরকার থাকলে উভয় দেশই আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত বিষয় সমাধান করত। সংসদে দেওয়া, ভাষণে ইমরান খান আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পক্ষে সাফাই দেন।
তিনি বলেন, আমেরিকা এখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে আফগানিস্তানের কোনও সামরিক সমাধান হতে পারে না। তিনি বলেন, আফগানিস্তান সম্পর্কিত একটি কঠিন সময় আসছে। আমাদের এবং আমেরিকার একই উদ্দেশ্য রয়েছে, তারাও বুঝতে পেরেছে যে এর কোনও সামরিক সমাধান নেই। আমাদের এটি আগে বোঝা উচিত ছিল, তারা আমাদের ভাই।
ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান হস্তক্ষেপ করবে না এবং সে দেশের মানুষ যা চায় সেটাই হবে। পাকিস্তান শান্তি চায় আফগানিস্তানে। আমরা শান্তিতে অংশীদার হতে পারি, আমরা সংঘর্ষের অংশীদার হতে পারি না বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।