পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হিজাব মামলা নিয়ে সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। কর্নাটকের বিজেপি সরকার রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে মুসলিম ছাত্রীদের মস্তকাবরণ বা হিজাব পরে আসা নিষিদ্ধ করেছে। বিজেপি সরকারের এই নির্দেশকে বৈধ বলেছে কর্নাটক হাইকোর্ট। কর্নাটকের হাইকোর্টের মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এ সম্পর্কিত কয়েকটি মামলার এখন শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষকোর্ট সোমবার শুনানির পর মামলাটি ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে।
সোমবার শুনানির সময় আইনজীবী ইউসুফ মুচায়ালা বলেন,কর্নাটক হাইকোর্টে পবিত্র কুরআন ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব নেওয়া উচিত হয়নি। কর্নাটক হাইকোর্ট শুধু একটিমাত্র মতকে গ্রহণ করেছে। কুরআনের অন্যতম ব্যাখ্যাকার ও তরজমাকারী আবদুল্লাহ ইউসুফ আলির বক্তব্যকে ‘ঐশী বাণী’ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। ইউসুফ মুচায়ালা আরও বলেন, কুরআন ব্যাখ্যার সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে। আর সে সম্পর্কে কর্নাটক হাইকোর্টের মোটেই জানকারি নেই। সংবিধান স্পষ্ট করে বলেছে যে, ধর্ম তৈরি করে তা মানুষকে অনুসরণ করতে বলা আদালতের কাজ নয়। কোর্টের ধর্মীয় শাস্ত্র ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। অথচ কর্নাটক হাইকোর্ট তাই করেছে।
বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে ইউসুফ মুচায়ালা বলেন, আর কেউ যদি অতিরিক্ত উৎসাহে বা অজ্ঞতাবশত আদালাতের সামনে এই ধরনের প্রশ্ন তোলেও, আদালতের জানা উচিত তার সীমাবদ্ধ তা কোথায়। আদালতের বলা উচিত , আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না কোনটা অবশ্যকীয় ধর্মীয় প্র্যাক্টিস।
আইনজীবী সলমন খুরশিদ বলেন, ঈশ্বর ও নবী সা. এর আদেশ ইসলামে অবশ্য পালনীয়। কাজেই এটা আবশ্যক আর ওটা আবশ্যক নয়, এই ধরনের কোনও বিতর্ক ইসলামে নেই। খুরশিদ আরও উল্লেখ করেন, এর আগে পুট্টাস্বামী প্রদত্ত দায়ে বলা হয়েছে, মানুষের পোশাক নির্বাচন বা তার চেহারা সে কিভাবে দেখাবে তা ব্যক্তি গোপনীয়তার একটি অংশ।