অনন্তনাগ, ১৮ জুলাই : শনিবার সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন এক সাংবাদিককে মারধোর করে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ঘটনা। ২৩ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের নাম আকাশ হাসান। তিনি একজন স্বাধীন সাংবাদিক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি লিখে থাকেন। টুইট করে হাসান জানিয়েছেন, সঙ্গমে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বাড়ি ফেরার পথে। পুলিশ সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিল। জাহিদ নামে একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও পিএসও তাঁকে চড় মারেন ও তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ হাসানের। তাঁর দাবি, সাংবাদিক পরিচয়ের জন্য তিনি আক্রান্ত হয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান,”গাড়ির সারিতে আমি ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। তখন একজন পুলিশ গাড়ির কাচে টর্চের আলো ফেলে এবং প্রেসের স্টিকার দেখতে পায়। তারপর ‘প্রেস প্রেস’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। অন্যান্য পুলিশরা সেখানে জড়ো হয়ে আমার কলার চেপে ধরে এবং আমার মুখে আঘাত করে। আমার নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। আমাকে গাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছিল তারা, কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যাই।” এরপর অনন্তনাগ শহরের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি যান। সেখানে ডাক্তার তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নাক-কান-গলার রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে পরামর্শ দেন।
টুইটারে নিজের রক্তমাখা নাক ও হাতের ছবিও দিয়েছেন হাসান। তাঁর সেই টুইট দ্রুত ভাইরাল হয়ে গেলে অনন্তনাগ জেলা পুলিশ জানায় যে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে তাঁকে এমন হেনস্থার শিকার হতে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। হাসান আরও জানান, স্থানীয় পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট তাঁকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেন ও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। হাসানের সহকর্মীরা তাঁর এই হেনস্থাকে নিন্দা করে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন। সাংবাদিক মজিদ মকবুল ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশদের বরখাস্তের দাবি করেছেন।