পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ক্রমেই সংকট বাড়ছে যোশীমঠে। এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া চার হাজারের বেশি মানুষ। ফাটল ধরেছে কমপক্ষে ৬৭৮ বাড়িতে। এই পরিস্থিতিতে ‘জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তুলছেন স্থানীয়রা। তারই মাঝে ভয়ঙ্কর ভূমিধসের ঘটনা ঘটল যোশীমঠের নিকটবর্তী মালারির কাছে অবস্থিত এক পাহাড়ে।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তথ্য আধিকারিক রবীন্দ্র সিংহ নেগি সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গার শাখানদী ধৌলিগঙ্গার অববাহিকায় ভূমিধসের ঘটনা দেখা গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, যোশীমঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নেতি উপত্যকায় পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ তুষার এবং পাথর ধৌলিগঙ্গা নদীখাতে এসে পড়েছে।
যোশীমঠের মতোই মালারিতেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচিকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
তাঁদের মতে, উত্তরাখণ্ডের উঁচু পাহাড়ের গায়ে চিরসবুজ পাইনের জঙ্গল। তা যেমন জল ধরে রাখে, তেমনই শিকড়ের কামড়ে মাটির কণাকে আগলে রাখে। তাই গঢ়ওয়ালি মানুষেরা বংশপরম্পরায় পাইনের জঙ্গলকে পুজো করে এসেছেন। তবে প্রায় এক দশক ধরে নির্মম ভাবে জঙ্গল কাটা শুরু করেছে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ। ফলস্বরূপ আশেপাশের ভূমি আলগা হয়ে যেতে শুরু করেছে। তারজন্য উত্তরাখণ্ডে ভূমিক্ষয়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ ধসের পর ধৌলিগঙ্গায় হড়পা বান দেখা গিয়েছিল। ওই ঘটনায় নির্মীয়মাণ তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বেশ কয়েক জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ বার তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।