পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে আর কিছুদিন পর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আদিবাসিদের মনজয় করতে ময়দানে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ১৫ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ১০২ টি ব্লককে চিহ্নিত করে ‘জয় জহর মেলা’র আয়োজন করা হয়েছে। আগামি ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি এই জয় জহর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সামনে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আদিবাসী মানুষের মধ্যে আরও সংবদ্ধ করতে রাজ্য আদিবাসী কল্যান দফতর ‘জয় জহর মেলা’র আয়োজন করেছে। রাজ্যের ১৫ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ১০২ টি ব্লককে এ’জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এ’জন্য প্রতি ব্লককে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা এবং জেলাকে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
রাজ্য আদিবাসী কল্যাণ দফতর সুত্রে জানাগিয়েছে,প্রতিটি মেলাকে ঘিরে আদিবাসী মানুষকে নিয়ে তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে। স্থানীয় আদিবাসী শিল্পীদের মেলার অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে সুযোগ দিতে হবে। এজন্য স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত প্রচারের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক ও আদিবাসী নেতাদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। তারা যাতে অবশ্যই মেলায় আসেন তা সুনিশ্চত করতে হবে।
মেলায় থাকবে সরকারি পরিষেবার সুযোগ। খুলতে হবে স্বাস্থ্য শিবির। রক্তদান শিবির এবং চোখের ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করতে হবে মেলায়। প্রতিটি মেলায় আদিবাসী মানুষের জাতিগত শংসাপত্র,আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষাশ্রীর মতো বৃত্তিদান শিবির খুলতেই হবে। রাখতে হবে আদিবাসী মহিলা দ্বারা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাইক্রো ক্রেডিটের সুযোগ পাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা,চোখের আলো স্বাস্থ্য প্রকল্প, প্লাণী সম্পদ বিকাশ দফতর, কৃষি দফতর থেকে আদিবাসী মানুষের জন পরিষেবাদানের সমস্ত সুযোগ যাতে ব্লকের আদিবাসী মানুষ মেলায় এসে সরকারি পরিষেবার সুবিধার জন্য আবেদন জানিয়ে তা নিয়ে নিতে পারেন। কারণ দুয়ারে সরকারের মতো সরকারি শিবির খুললে আদিবাসী মানুষ সরকারি পরিষেবার জন্য সব সময় যোগ দিতে পারেন না। কারণ এরা অধিকাংশই গরীব মানুষ। প্রতিদিন কাজের সন্ধানে সকালে বেড়িয়ে পড়েন।
মেলা জুড়ে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজ্য সরকার আদিবাসী হস্তশিল্পের বাজারকেও উৎসাহিত করতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে। এ’জন্য স্থানীয় আদিবাসী হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও বিপণনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কেন্দুয়া পাতা সংগ্রহকদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ রাখতে হবে। বন দফতর থেকে মেলায় ঔষধি গাছ বিক্রির স্টল দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও নানান সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।