পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যজুড়ে পরিশ্রুত পানীয় জলের বিভিন্ন এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক বসানি হয়েছিল । কিন্তু আজও বহু জেলায় এই সমস্ত ট্যাঙ্ক চালু হয়নি। ফলে পরিশ্রুত পানীয় পাচ্ছেন না বহু মানুষ। এই অভিযোগ বহু আগেএ থেকেই । এবার রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আগে সেই সমস্ত পানীয় জল প্রকল্প গুলির দায়িত্ব দেওয়া হল বিডিওদের। সেই নির্বাচনের আগে গ্রাম বাংলার অন্যতম প্রশাসকদের দায়িত্ব আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্য সরকারের অধীনে কাজ করা রাজ্যের নিজস্ব এই খুদে প্রশাসকদের কাঁধে দায়িত্ব বর্তেছে গ্রামে গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে কি না, তা দেখার। বিডিওদের এই দায়িত্ব অর্পণ করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বা পিএইচই বিভাগ । গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জলের গুণগত মান পরীক্ষা করা, পাইপলাইনের জলে সংশ্লিষ্ট গ্রামের চাহিদা মিটছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে এবার নজরদারি করতে হবে তাঁদের। তবে শুধু নজরদারিই নয়, নিয়মিত রিপোর্টও পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম বাংলায় পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর যে এসওপি দিয়েছিল, তাতেই বিডিওদের এই দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিডিওদের মূল কাজই হবে জলের গুণমান পরীক্ষা করা। সংশ্লিষ্ট ব্লকের যে সব গ্রামে জল সরবরাহ হচ্ছে, তার নমুনা নিয়ে প্রতি মাসে পরীক্ষা করতে হবে। জল পরীক্ষার জন্য আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কাজের জন্য প্রতিটি গ্রামে পাঁচজন করে কর্মী লাগবে। তাঁদের বাছাই করবেন বিডিও। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি জায়গায় নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিশ্রুত জল পৌঁছয় কি না, তা দেখতে হবে তাঁদের। প্রতিটি ব্লকে অভিযোগ জানানোর একটি বাক্স রাখতে হবে। কারও জল নিয়ে অভিযোগ থাকলে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে ব্লক প্রশাসনকে। পাইপলাইনের জলে চাহিদা পুরোপুরি মিটলে, সেই গ্রামকে বিশেষ স্বীকৃতিও দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। সেই সমস্ত বিষয় গুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।