পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যে কোনও সময় ধস নামতে পারে এইসব এলাকায়। সবচেয়ে বেশি সতর্ক করা হয়েছে সিকিমকে। দেশের ১৪৭টি জেলাকে ধসপ্রবণ জেলা হিসাবে চিহ্নত করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে ৬৪টি জেলাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো।
সম্প্রতি ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেনসিং সেন্টার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সারা দেশের কোন কোন এলাকা তা উল্লেখ করে একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। এতেই ওই ভয়ঙ্কর চিত্র ধরা পড়েছে।
ইসরো জানিয়েছে, দেশের প্রথম ১০টি ধসপ্রবণ জেলার মধ্যে আছে সিকিমের দু’টি জেলা। উত্তর সিকিম এবং দক্ষিণ সিকিম। সিকিম ভ্রমণে গিয়ে মূলত এই দুই জেলাতেই যান এমন পিপাসুরা। আগেওএ বহুবার ধস ও তুষারপাতে পর্যটকদের আটকে পড়তে হয়েছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সেনা। কিন্তু পর্যটকদের জন্য আগামীদিনে আরও বড় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, যদিও উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বছরে অনেকবার ভূমি ধস হয়, সেখানে জনসংখ্যার ঘনত্বও অনেক কম। তাই ধংসের ধসের সম্ভাবনা কম। একা সিকিম নয়, ভূমি ধসের প্রবণতার মধ্যে রয়েছে অসমের ডিব্রুগড়, লামাডিং, বদরপুর। এছাড়া মণিপুরের ননে জেলা। গত কয়েক বছরে পর পর ভূমি ধস হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। রুদ্রপ্রয়াগ, কেদারনাথ সহ আরও অনেক জায়গায়। একই প্রবণতা হিমাচল প্রদেশেও। ইসরো জানাচ্ছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্নস্থানে ৮০ হাজার ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এইসব ধসের কারণ, ভূমির গঠন প্রভৃতি নিয়ে গবেষণায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের হাতে উঠে এসেছে এমন সব তথ্য।