পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের ওপর হামলা, গণহারে আটক ও নির্যাতনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘ক্যাটালগ অফ ভায়োলেশন্স’ বা আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে উৎপীড়ন চালাচ্ছে ইসরাইলি পুলিশ। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক রিপোর্টে জানিয়েছে, দখলদারদের পূর্বপরিকল্পিত হামলার হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। মানবাধিকার সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক সালেহ হিগাজি বলেন, ’ইসরাইলের আইন অনুযায়ী পুলিশের দায়িত্ব হল সব মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। তা সে ইহুদি বা ফিলিস্তিনি যেই হোক না কেন। এর পরিবর্তে আন্ত–সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সংখ্যাগুরু ফিলিস্তিনিকে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ।’
হিগাজির কথায়, ’এই বর্ণবাদী পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করা এবং ইসরাইলের প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যবাদ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন তাঁদের কণ্ঠরোধ।’ অ্যামনেস্টির গবেষকরা মে মাসের শুরু থেকে পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লায় ফিলিস্তিনি বসতি উচ্ছেদ অভিযানের ২০টি মামলার তথ্য হাতে পেয়েছেন যা ৪৫টি ভিডিয়ো দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, পুলিশি অভিযানে শত শত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক সপ্তাহে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের মিছিলেও গুলি চালিয়েছে জায়নবাদী পুলিশ। বর্ণবৈষম্যের নীতির কথা বলা হচ্ছে কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেফতার হওয়া ২,১০০ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশই ফিলিস্তিনি। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা নাকি ইসরাইলি পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে বা অপমান করছে অথবা অবৈধ ভাবে সমবেত হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যামনেস্টির হিগাজি বলছেন, ’খুব কম ইহুদিকেই আটক করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের দমন ও অবরুদ্ধ করার পর ইহুদি আধিপত্যবাদীরা তাদের মিছিল বের করছে।’ এই সোমবার শেখ জাররাহ এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর দমন অভিযানে ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি জখম হয়েছেন।