বিশেষ প্রতিবেদন: গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। এ কারণেই আসন্ন রমযানে ইউরোপের বাজারে ইসরাইলি খেজুর বয়কটের আশঙ্কা করছেন রফতানিকারকরা। মোট ইসরাইলি খেজুর রফতানির এক-তৃতীয়াংশ হয় পবিত্র রমযান মাসে। তবে এবার গাজায় গণহত্যার জেরে ইউরোপের বাজারে ইসরাইলি খেজুর বয়কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ইসরাইলি ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, গাজায় সাম্প্রতিক হামলার পর মুসলিমদের মধ্যে ইসরাইলি পণ্য নিয়ে সতর্কতা বেড়েছে। ইসরাইলি ‘মেডজুল’ খেজুরের প্রচারণার জন্য ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ডলারের একটি ক্যাম্পেইনও বাতিল করেছে রফতানিকারকরা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারির অবসান ঘটাতে বিভিন্ন দেশে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। ইসরাইলি কোম্পানিগুলোর ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগে বিভিন্ন দেশে আন্দোলন চলছে। সারা বিশ্বের মুসলিম ক্রেতাদের ইসরাইলি খেজুর না কেনার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনপন্থী একটি গোষ্ঠী ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলছে, ইসরাইলি মেডজুল খেজুরের বেশিরভাগ উৎপন্ন হয় পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে দখল করা ফিলিস্তিনিদের জায়গায়। ইসরাইলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরই মধ্যে অনেক জায়গায় ইসরাইলি খেজুর বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে।