পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ গত বছর ইসরাইলে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় ৩৭ শতাংশই নষ্ট হয়েছে। প্রতিবেশী ফিলিস্তিনে মানুষ না খেতে পেয়ে মারা গেলেও খাবার অপচয় করতে দ্বিধা করে না ইসরাইলিরা। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, অপচয় করা ৩৭ শতাংশ খাদ্যের মূল্য হবে ৬২০ কোটি ডলার। ইসরাইলের বৃহত্তম দারিদ্র-বিরোধী এনজিও লেকেট এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এনজিওটি ইসরাইলিদের বিভিন্ন পর্যায়ে খাদ্য সহায়তা সেবা প্রদান করে। ১৮টি উন্নত দেশের তুলনায় ইসরাইলের খাদ্য বর্জ্য সমাধানের প্রক্রিয়াটি সবচেয়ে খারাপ উল্লেখ করে বলা হয়, ইসরাইলে নষ্ট হওয়া ২৬ লক্ষ মিলিয়ন টন খাদ্যের অর্ধেকেরও বেশি উদ্ধারযোগ্য এবং মানুষের পুনঃব্যবহারের উপযোগী। দেশটির পরিবেশ সুরক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে লেকেট যৌথভাবে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের সম্পাদক চেন হারজগ বলেছেন, খাদ্য উদ্ধার নীতির ব্যাপারে ইসরাইলের অবস্থান সবার নিচে।
ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসাবে নতুন সরকারকে একটি ব্যাপক খাদ্য উদ্ধার নীতি গ্রহণ করতে হবে। তার মতে, বর্তমানে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাদ্যের মাত্র ২০ শতাংশ উদ্ধার করা গেলে তা ইসরাইলের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে। এ জন্য সরকারকে মাত্র ৩১ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। লেকেটের সিইও গিদি ক্রোচ বলেন, প্রতিবেদনের এ সব তথ্য দেখে তিনি হতবাক হননি। কারণ, প্রতিবছর তারা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, সেগুলোকে সরকার কোনও গুরুত্ব দেয় না। গত বছরের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছিল, শিশু আছে এমন ২৫ শতাংশ ইসরাইলি পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছে।
ক্রোচ বলেন, খাদ্য উদ্ধারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল মাত্র এক-চতুর্থাংশ খরচ দিয়ে ইসরাইলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্পূর্ণ সমাধান করা সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে আনা এবং বর্জ্য প্রতিরোধও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। অতিরিক্ত খাদ্য উদ্ধার করা গেলে তা গ্যাস নির্গমন ও দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করবে।