পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ধর্মান্তর নিয়ে শ্রীনগরে শিখ ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে। অভিযোগ, দুই শিখ মহিলাকে অপহরণ ও ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এক মহিলা ভিডিয়ো প্রকাশ করে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
ওই মহিলা ভিডিয়োতে বলেন, ‘আমার বয়স ২৯। আমি বাচ্চা নই। আমাকে কেউ জোরজবরদস্তি করেনি ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য। আমি ১৮ বছর বয়সে ধর্ম পরিবর্তন করি। এরপর আমারই সহপাঠী মুজাফফর দারকে ধর্মান্তরের ২ বছর পর বিয়ে করি। এরমধ্যে কোনও বা সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ টানবেন না। আমি আমার অধিকার সম্পর্কে সচেতন। আমি জানি সুপ্রিম কোর্ট কী অধিকার দিয়েছে। আমাকে বন্দুকের নলের ডগায় ধর্মান্তরণ করা হয়েছে। এই অভিযোগ মিথ্যা।’
উল্লেখ্য, অকালি দল নেতা মনজিন্দার সিং শিরসা শ্রীনগরে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে শিখেদের একটি দলকে নিয়ে পৌঁছে যান। এমনকী জম্মু-কাশ্মীরের এলজি-র সঙ্গেও তাঁরা দেখা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। শ্রীনগরে শিখ মহিলারা নিরাপদ নন। এমনও মন্তব্য করেন তাঁরা।
স্থানীয় শিখেদের এই ব্যাপারে বক্তব্য যে, শ্রীনগরে তারা সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। ১০ বছর আগে ধর্মান্তরণের একটি ঘটনা টেনে এনে গোলমাল করার চেষ্টা চলছে। যারা ধর্মান্তরণ নিয়ে গোলমাল করতে এসেছে, তারা সকলেই বহিরাগত।
জম্মু কাশ্মীরের গ্রান্ড মুফতি নিসার-উল-ইসলাম বলেন– শিখেরা কাশ্মীরি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখানে জবরদস্তি ধর্ম বদলের কোনও স্থান নেই। শিখেদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হবে, সেটা কাশ্মীরি মুসলিমরা বরদাশ্ত করবে না। এখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু কোনও ভেদাভেদ নেই।’