পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সবাই মিলে ২০০ রান করতে পারল না। আর ইশান কিশান একাই দুশো রান তুলে দিলেন। রোহিত শর্মা, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, শচীন তেন্ডুলকরের পর চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করে নতুন নজির গড়লেন ইশান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে নিজের প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি করে ভারতকে শুধু জেতানোর রাস্তাই দেখালেন না, ২২৭ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে নয়া নজিরও গড়ল ভারত। টসে জিতে এদিন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান। রোহিত শর্মা দেশে ফিরে আসায় শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন ইশান কিশান। ধাওয়ান জলদি ফিরে গেলেও বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ইশান বাংলাদেশের বোলারদের কালঘাম ছুটিয়ে দিলেন। টাইগারদের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই ইশান ছিলেন মারমুখি মেজাজে। সেঞ্চুরি পূরণ করার পর তিনি আরও আগ্রাসি হয়ে ওঠেন। আউট হওয়ার আগে করে গেলেন ২১০ রান। খেললেন মাত্র ১৩১টি বল। মারলেন ২৪টি চার ও দশটি ছক্কা। বিরাট কোহলিকে সঙ্গী করে গড়ে ফেললেন পাহাড় প্রমাণ ইনিংসের পার্টনারশিপ। তাঁর ও বিরাটের দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপে উঠল ২৯০ রান।
বিশ্ব ক্রিকেটে দ্বিতীয় উইকেটে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ, ভারতের তৃতীয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদে শচীন ও oাবিড়ের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠেছিল ৩৩১ রান। এবং ওই বছরই টনটনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় উইকেটে সৌরভ ও oাবিড় জুটিতে উঠেছিল ৩১৮ রান। বিরাট ও ইশান জুটিতে এত রানে ভর করে ভারত শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ৪০৯ রান তোলে। বিরাট কোহলি নিজের ৪৪ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিও পূর্ণ করলেন। ২০১৯ সালে শেষ বার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। তিন বছর বাদে সেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই তাঁদেরই মাটিতে সেঞ্চুরি করে বোঝালেন ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি এখনও কতটা অপরিহার্য।
৪১০ রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ভিত্তিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সিরাজ, উমরানরা বেশ নজর কাড়লেন বল হাতে। তবে বল হাতে এদিন ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার শার্দূল ঠাকুর। তিনি নিলেন তিনটি উইকেট। সিরাজ ও উমরান দুটি করে উইকেট নিলেন। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৮২ রানে শেষ হল। যদিও আগের দুটো ম্যাচ জিতে নেওয়ায় সিরিজ আগেই জিতে গিয়েছে বাংলাদেশ।