পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল চিন! তালিবান মনোনীত আধিকারিককে বেজিংয়ে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা দিল জিনপিং প্রশাসন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তালিবান সরকারকে ‘কূটনৈতিক স্বীকৃতি’ দেওয়া প্রথম দেশ হল চিন। অথচ নয়া দিল্লির আফগান দূতাবাস বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে তালিবান প্রশাসন।
আশরাফ ঘানি সরকারের আমলে ভারতে আফগান রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ফরিদ মামুনজাদে । লাল, কালো, সবুজ রংয়ের আফগান রিপাবলিকের পতাকার দেখা যেত নয়া দিল্লিতে। ২০২১ সালের আগস্টে তালিবান ক্ষমতা দখলের পরও নয়াদিল্লিতে বহাল ছিল আফগান রাষ্ট্রদূত। দায়িত্বে ছিলেন ফরিদ মামুনজাদে। কিন্তু সেসব অতীত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিবানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছিল। তবে দুদশক পর তালিবানের কাছে হার মানতেই হয় আমেরিকাকে। ফের তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশে ফেরে মার্কিন সেনা। তালিবান নিজেদের জমি পুনর্দখল করার পর আফগানস্থান থেকে চম্পট লাগান তাদেরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বানানো পুতুল প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
২৪ নভেম্বর আফগান দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভারত সরকারের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ’-এর মুখে তারা দূতাবাস বন্ধের সিন্ধান্ত নিয়েছে। নয়া দিল্লিতে আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত।দ জানানো হয় বিবৃতিতে। তাতে আরও বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করার সময় আফগানিস্তান সরকার আশা করছিল, দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফের চালু করার জন্য ভারত সরকার অনুকূল অবস্থান নেবে। কিন্তু, আট সপ্তাহ অপেক্ষা করা সত্ত্বেও, আফগান কূটনীতিকদের ভিসা বাড়ানো হয়নি। ভারত সরকারের আচরণও পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত নয়।’ এর আগে কাবুল থেকে প্রকাশিত কয়েকটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, চিন তালিবান মনোনীত বিলাল করিমিকে রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা দিয়েছে এবং এখানে তিনি বিদেশমন্ত্রকের কাছে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছিল ভারত। সেই থেকে আফগানিস্তানে নয়াদিল্লির কোনও কূটনীতিক নেই। তালেবান ক্ষমতায় ফেরার আগে ভারত পশ্চিমা সমর্থিত আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের অন্যতম প্রধান সমর্থনকারী দেশ ছিল।