পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভারত সংবিধনের ভিত্তিতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তবে মাঝেমাঝেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবৎ তাঁর সমর্থকদের মনে করিয়ে দেন যে ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’। এবং এটাই ধ্রুব সত্য। বহু দিন ধরেই এই একটি কথা তিনি বলে চলেছেন যে ভারতের বসবাসকারী মুসলিমদের ডিএনএ হল হিন্দু। এবার ভাগবৎজি বলেছেন সব ভারতীয়ই হিন্দু এবং হিন্দু মানেই হল ভারতীয়ত্ব।
যারা ভারতে আছেন তারা হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু তাই নয়, তাদের পূর্বপুরুষও হিন্দু ছিলেন। ভারতের মাটি হিন্দুদের মাটি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকক সংঘ বা আরএসএস প্রধান ২০২৫ সালের আগে বারতকে যে কোনও প্রচারে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেএই দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে কারণ আরএসএস এবং বিজেপি ২০২৫ সালে আরএসএসের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে চায় ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করে।
দলের এবং সংঘের এই ইচ্ছা বহুবার ব্যক্ত করা হয়েছে অনেক মঞ্চে। এদিন তাদের দৈনিক তরুণ ভারত-এর জন্য নতুন ভবন মধুকর ভবন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভাগবৎ—তিনি বলেন কিছু মানুষ ভারত যে হিন্দু রাষ্ট্র সেটা স্বীকার করেছেন কিন্তু দেশের অগণিত মানুষ ভারতকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র মানতে নারাজ। তিনি এরপর সংবাদ মাধ্যমকেও কিছু শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিরপেক্ষভাবে রিপোর্টিং করতে হবে। বাস্তব ঘটনা তুলে ধরতে হবে তবে আমাদের আদর্শকে ভুললে চলবে না।
ভাগবৎ বলেন, আমাদের আদর্শ সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছেন কারণ আমাদের আদর্শের কোনও বিকল্প নেই। আজ গোটা বিশ্ব সেটা স্বীকার করে নিয়েছে। কেউ মেনে নিয়েছে, আবার কেউ মানেনি। তাই আমাদের উপর এই দায়িত্ব রয়েছে যে আমরাআমাদের আদর্শকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দিই। ভাগবৎ বলেন, দেশের ১৩০ কোটি মানুষ হিন্দু সমাজের প্রতিনিধি।
ভাগবৎ ‘ধর্মবিজয়’কে মানতেই হবে। হায়দরাবাদে প্রায় ২০,০০০ আরএসএস প্রচারকদের সভায় বলেন, ভারতের মোক্ষপ্রাপ্তি ঘটবে রাজনীতি কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে নয়, এটি ঘটবে ভাল সমাজ এবং হিন্দুদের মাধ্যমে। ১৩০ কোটি ভারতীয় সবাই হিন্দু সমাজের অঙ্গ তাদের ধর্ম যাই হোক না কেন।