পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্স দলের হয়ে গত মরশুমে জাদুকরী পারফরম্যান্স করার জন্য সেরার স্বীকৃতি পেলেন ফরাসি তারকা ফুটবলার করিম বেঞ্জেমা। আর এতে ফুরাল ফ্রান্সের দীর্ঘ অপেক্ষাও। প্রায় দুই দশক পর ব্যালন ডি’অর জিতলেন ফ্রান্সের কোনও ফুটবলার। এর আগে ফরাসি দলের হয়ে সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন জিনেদিন জিদান। আর এবারে প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানে বেঞ্জেমার তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল- এর পুরস্কার, ব্যালন ডি’অর ২০২২। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, ৩৪ বছর বয়সী বেঞ্জেমার হাতে ব্যালন ডি’অর তুলে দিলেন কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানই।
এতদিন পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর পুরস্কার যেত হয় মেসি কিংবা রোনাল্ডোর হাতে। তবে সাম্প্রতিক অতীতে বছর সেরার এই পুরস্কারের গন্তব্য স্থল ক্রমে পাল্টে যাচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হল, এবারের ব্যালন ডি’অর -এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি লিওনেল মেসির। অথচ তিনিই সবচেয়ে বেশি ৭টি ব্যালন ডি’অর নিজের দখলে রেখেছেন।২০০৫ সালের পর যা প্রথম। তবে ৫টি ব্যালন ডি’অর জিতে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্রিশ্চিয়ানোর রোনাল্ডো ছিলেন সংক্ষিপ্ত তালিকায় ২০তম স্থানে।১৭ বছরের মধ্যে যা তার সর্বনিম্ন।ঠিক সে জায়গা থেকে সবাইকে পিছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর জিতে মেসি, রোনাল্ডোদের পাশে নিজের নামটাও জুড়ে দিলেন বেঞ্জেমা।
ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়ে সত বছর বেঞ্জেমার যা পারফরম্যান্স ও অর্জন, তাতে এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য তিনিই সবচেয়ে ফেভারিট ছিলেন। গত মরশুমে রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি।১৫টি গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন করিম। এর মধ্যে ১০টিই করেন নকআউট পর্বে। একের পর এক ম্যাচে রিয়ালের রূপকথার প্রত্যাবর্তনের নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি। এমনকি গতবারে রিয়ালের লা লিগা জয়েও সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন সর্বোচ্চ ২৭ গোল করে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে করেন ৪৪ গোল। ব্যালন ডি’অর-এ বিবেচিত হওয়ার সময়ে জাতীয় দলেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেন বেঞ্জেমা। গত বছরের অক্টোবরে ফ্রান্সের নেশন্স লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। চার দলের ফাইনালসের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেন।এমন চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের সুবাদে গত অগাস্টে প্রথমবারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পান বেঞ্জেমা। আর এবার পেয়ে গেলেন আরও বড় স্বীকৃতি। ব্যালন ডি’অর-এর সম্মান।