পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী শুভ কাজে নারকেল ফাটিয়ে উদ্বোধনের রেওয়াজ আছে। কিন্তু এবার সেই নারকেল ফাটিয়ে শুভ কাজ করতে গিয়েই কেলেঙ্কারি! নারকেল মাটিতে ছুঁড়তেই ফেটে চৌচির। না, নারকেল নয়, রাস্তা ফেটে চৌচির! যে রাস্তা তৈরি করতে খরচ হয়েছিল কোটি টাকা! কিন্তু ঠিকঠাক থাকল নারকেলটি। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের। এমনকী জুটেছে টিক্কা-টিপ্পনীও।
বিধানসভা ভোটের মুখে ১.১৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি সেই রাস্তার উদ্বোধন গিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি বিধায়ক সুচি মৌসম চৌধুরী৷ ওই রাস্তা তৈরির দায়িত্বে ছিল সেচ দফতর৷ তাই সেচ দফতরের উপর বেজায় চটেছেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই ফোন করে আধিকারিকদের আসতে বলেন। প্রায় তিনঘন্টার উপরে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন সুচি মৌসম চৌধুরী। পরে আধিকারিকরা এলে তাদের ধমকান তিনি। অভিযোগ করেন, রাস্তা তৈরিতে এত খারাপ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে যে নারকেলও ফাটানো যায়নি৷ অথচ রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে৷ বিধায়কের অভিযোগের পরই আধিকারিকরা সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন৷ নমুনা পরীক্ষায় খারাপ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরাত পাওয়া সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বিধায়ক৷
সুচি মৌসম চৌধুরী বিজনৌরের বিধায়ক৷ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রেই ৭.৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়৷ কাজ শেষের পর উদ্বোধন ছিল। সেখানেই এই বিপত্তি ঘটে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আমাকে রাস্তা উদ্বোধনের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ এখানে আসার পর আমার হাতে নারকেল দেওয়া হয়৷ ওই নারকেল ফাটিয়ে রাস্তা উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু নারকেল ভাঙল না৷ রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে গেল৷’ ঘটনাস্থল থেকেই দাঁড়িয়েই তিনি ফোন করেন জেলাশাসককে৷ সেচ দফতরের এক্সিগিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ আগরওয়াল দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, অভিযোগ ভীত্তিহীন। ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে জেলাশাসককে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে৷