পুবের কলম প্রতিবেদক: ছেলে-মেয়েকে ভালো স্কুলে পড়াতে হবে। সরকারি স্কুলগুলিতেও যে হাল! গ্রামে স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। তাই শহরে বদলি নিতে হবে। শহর ও শহরতলীর স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলিতে ভুরি ভুরি আবেদন জমা পড়েছে। বদলি নিতে কেউ আবার একে-ওকে ধরছেন বলেও অভিযোগ। আর এতে গ্রামের অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের শেষে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষক প্রার্থীরা শহর ও শহরতলীল স্কুলকেই বেশি পছন্দ করছেন। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার পুবের কলমকে জানান, গ্রামের স্কুলে শিক্ষক কমেছে, এটা সত্য। গ্রামের স্কুলে তুলনামূলকভাবে শিক্ষক শূন্যপদ কম। সেই পদে শিক্ষক দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পর্ষদ আরও জানিয়েছে, অনুপস্থিতি ও চাকরি পেয়েও গ্রামের স্কুলে চাকরিতে যোগ না দেওয়ার জেরে এবার ওয়েটিং লিস্ট থেকে ২ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী ডাক পেতে চলেছেন।
জানা গিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সিলিংয়ে ৬৫ জন গ্রামে যাবেন না বলে সরাসরি কমিশনকে জানিয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, কাউন্সিলিংয়ের জন্য ৯ হাজার জন হবু শিক্ষককে ডাকা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কাউন্সিলিংয়ে অংশই নেননি লিখিত এবং ইন্টারভিউয়ে সফল প্রায় ১ হাজার হবু শিক্ষক। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ শতাংশ হবু শিক্ষক উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় প্রথম পর্যায়ে চাকরি নিলেন না। তবে এত জন অনুপস্থিত এবং চাকরি প্রত্যাখ্যান করায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা কাউন্সিলিংয়ে ডাক পাবেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল ৯ থেকে ১০ বছর আগে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এসএসসির তরফে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরীক্ষা হয় পরের বছর। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশের পর ১৪৩৩৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। কিন্তু দু’দফায় ইন্টারভিউ হলেও প্যানেল অধরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বর্তমানে নিয়োগ প্যানেলের বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও এমন হাল বলেও স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানেও যাতে শিক্ষক দেওয়া যায়, তার জন্য আইনি জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। তারপরই নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।