দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: ছোট্টুর আগেও জন্মদিন পালন হয়েছে। প্রিম্যাতচিওর বেবি হিসেবে একসময় জন্ম হয় ছোট্টুর। তারপর শুরু হয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। হাঁটা চলা, কথা বলা ঠিকমত করতে না পারা প্রতিবন্ধকতার শিকার ছোট্টুর জন্য পরিবারের আলাদা আবেগ থাকবে এবং সেকারণে তার জন্মদিনে একটু ধূম-ধাম করে পালিত হবে এটাইতো স্বাভাবিক! তাই হয়ে এসেছে এতদিন। কিন্তু পরিবারের কর্তা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ওঠায় জন্মদিনে আনন্দ করার ধারণাটাই পাল্টে গেল পরিবারের। দুঃসময়ে অন্যতদের পাশে পেয়ে অন্যেআর পাশে থাকার বাসনাতেই ফিরে এল এক নতুন জন্মদিন! জন্মদিনের জন্য জমানো অর্থ রেড ভলেন্টিয়ার্সদের হাতে তুলে দিল ছোট্টু ও তার পরিবার। অনেকেই জানলেন, এভাবেও জন্মদিন পালন করা যায়। আর এজন্য রেড ভলেন্টিয়ার্সদের সদস্যদের ছোট্টুদের প্রতি কৃতজ্ঞতার সীমা নেই!
দেবজিৎ রায়। মা বাবার আদরের ডাক নাম ছোট্টু। বাড়ি রামপুরহাট পুরসভার চাকলামাঠ। মা দেবযানী রায় রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন একসময়। বাবা বিশ্বজিৎ রায় রেজিস্ট্রি অফিসে কপিরাইটের কাজ করেন। মাত্র দুদিন আগে ছোট্টুর জন্মদিন পালনের আয়োজন করার কথা। কিন্তু ছোট্টুর বাবার অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রেড ভলেন্টিয়ার্সদের ফোন করতেই অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে সটান তারা ছোট্টুর বাড়িতে হাজির হন। শুক্রবার তিনি বেশ সুস্থ।
ছোট্টুর মা ঠিক করেন, প্রকৃত অর্থে জন্মদিন হোক তার ছেলের। ছোট্টুও রাজি হয়। জন্মদিনের আনন্দ বিলিয়ে দিতে জন্মদিনের সঞ্চিত অর্থ রেড ভলেন্টিয়ার্সদের হাতে তুলে দিতে চাইল পরিবার। সংগঠনের সদস্য্ দেবারতি, ঝিলিক, ইউসুফ, সুশান্ত, রাহুল ও তারিকরা পৌঁছে গেল ছোট্টুদের বাড়িতে। জন্মদিনের জমানো টাকা তুলে দেওয়া হল তাদের হাতে। পালন হল জন্মদিন। সংগঠনের সদস্যিরা সঙ্গে করে নিয়ে গেছিলেন কেক। কাটা হল জন্মদিনের কেক। পালিত হল ছোট্টুর ছাব্বিশ তম শুভ জন্মদিন! রেড ভলিন্টিয়ার্সের আবেদন, সবাই এগিয়ে আসুন। এভাবেই আনন্দটা ভাগ করে নিলে ক্ষতি কি! অসময়ে পাশে থাকার জন্য রেড ভলেন্টিয়ার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞ ছোট্টুর পরিবার।