জয়পুর, ৩ ডিসেম্বর: আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে চার (মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানা) রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে যদি সেমিফাইনাল হিসেবে দেখা হয়, তা হলে কংগ্রেসকে ৩-১-এ পিছনে ফেলে দিল বিজেপি। হিন্দি বলয়ে ফের উঠল গেরুয়া ঝড়। তাতেই কার্যত উড়ে গেল কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় ‘হাত’ থেকে ছিনিয়ে নিল পদ্ম শিবির। মধ্যপ্রদেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে রুখে দিয়েছে বিজেপি। ওই রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে গেরুয়া শিবির। এই নির্বাচনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। তাই তিনিই ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে চলেছেন বলে খবর।
অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রমন সিং বলেছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তেলেঙ্গানায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, তরুণ মুখ রেবন্ত রেড্ডিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে খবর। রাহুল গান্ধি তার উপর ভরসা করেন। তবে ভাট্টি বিক্রমার্ক কিংবা উত্তম রেড্ডিও দৌড়ে আছেন। তবে সবার নজর রয়েছে রাজস্থানের দিকে। এখানেই সবচেয়ে বেশি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের ধারা বজায় রইল।
মনে করা হয়েছিল, মরু রাজ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু সেখানে গেরুয়া ঝড়ে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত। রাজস্থানে বিজেপির সাফল্যের পরেও কার্যত নীরব প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। মরুরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বসুন্ধরা ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত, সতীশ পুনিয়া, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিপি জোশি, দিয়া কুমারী এবং রাজ্যের নিজস্ব ‘যোগী’ বাবা বালক নাথ। এদের মধ্যে যদিও নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন সতীশ পুনিয়া। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বসুন্ধরার উপরেই দল আবারও আস্থা রাখতে পারে। ২৫ নভেম্বর নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৭০ বছরের প্রবীণ এই বিজেপি নেত্রী। দলের জয় সুনিশ্চিত হওয়ার পরে তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর দর্শন, অমিত শাহের কৌশল, জেপি নাড্ডার নেতৃত্ব, আমাদের দলের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম এবং জনগণের ইচ্ছার জয়।