পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:‘অযোগ্য সাংসদ’ তকমা দিয়ে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে রাহুল গান্ধিকে। তার প্রতিবাদে এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট টুইটারে বদল আনলেন কংগ্রেসের লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ। রবিবার সকালে রাহুল গান্ধি তাঁর ট্যুইটার বায়ো বদলে দিলেন। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ পদ খারিজের কথা জানিয়ে দেন। নিজের পরিচয়ের জায়গায় লেখেন ডিস’কোয়ালিফায়েড এমপি।
২৩ মার্চ রাহুলকে সুরাতের একটি আদালত মানহানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। আর, তারপরই লোকসভার সচিবালয় তড়িঘড়ি রাহুলের সাংসদপদ বাতিল বলে ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে এক জনসভায় পলাতক নীরব মোদি ও ললিত মোদি ও নরেন্দ্র মোদির নাম করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘সব মোদিই কি চোর?’ সেই কারণে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই কংগ্রেস নেতা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
শুক্রবার থেকে ওয়ানাডের সাংসদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। শনিবার দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দেন, নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদিকে বলতেই হবে আদানির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়নটা কী।
রাহুলের প্রতি অবিচারের অভিযোগে, রবিবার দেশব্যাপী ‘সংকল্প সত্যাগ্রহ’ পালন করছে কংগ্রেস। নয়াদিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই সত্যাগ্রহ পালন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বলেন, ‘এই সত্যাগ্রহ শুধু আজকের জন্য। তবে, এই ধরনের সত্যাগ্রহ সারা দেশে আরও হবে। কারণ, রাহুল গান্ধি সাধারণ মানুষের জন্য লড়ছেন। মোদি পদবি নিয়ে রাহুল গান্ধি কর্ণাটকে বিবৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, কর্ণাটকে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। বরং মামলাটি গুজরাটে করা হয়েছে। কারণ, কর্ণাটকে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার ক্ষমতা বিজেপির ছিল না। এখন কেন আপনারা রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন, সেই সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে দিন।’