পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোথাও থেকে খালি হাতে ফেরেননি। নিয়ে এসেছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। এবার সংসদে উঠল সেই পুরস্কারের প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সাংসদ জিভিএল নরসিমা রাও জিজ্ঞাসা করেন, মোদির পুরস্কার নিয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে আছে কি না।
আর তিনি যে এতসব আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, তার গুরুত্বই বা কি। প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুরালিধরন জানান, গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৪ দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘ থেকে পেয়েছেন পরিবেশ নিয়ে পুরস্কার। কোন কোন দেশ থেকে কী পুরস্কার পেয়েছেন মোদি, তার তালিকাও দিয়েছেন মন্ত্রী। তাতে দেখা যাচ্ছে ইসলামি দেশগুলি থেকেই মোদি সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। প্রায়ই মোদি গালফের দেশগুলিতে সফরে যান। আমিরাতের আল নাহিয়ান বা কাতারের থানিকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন। তাদের সঙ্গে কোলাকুলি, হাসিঠাট্টা করতেও দেখা গেছে তাঁকে।
আরব রাষ্ট্রসহ ইসলামি দেশগুলির সঙ্গে মোদির যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে এই ক’বছরে তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না। ভারতের বহু নাগরিক গালফের দেশগুলিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই অর্থনৈতিক দিক দিয়েও মোদি সরকার অনেকটাই নির্ভরশীল এইসব দেশের উপরে। তাই বাইরের ইসলামি শক্তির সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মোদি। ফলত ১৪টি পুরস্কারের মধ্যে সাতটিই এসেছে মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে।
বিশ্লেষকরা অনেক সময় বলে থাকেন, দেশের মুসলিমদের বন্ধু হতে না পারলেও মোদি বিদেশ শেখদের ঠিকই ‘বন্ধু’ বানিয়ে নিতে পেরেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন রাজ্যসভায় জানান, মোদিজি তাঁর নেতৃত্ব গুণের জন্যই বিশ্বে এভাবে সমাদৃত হয়েছেন।
যেসব দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান বা সংশ্লিষ্ট দেশের পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি —সউদি আরব (২০১৬), আফগানিস্তান (২০১৬), ফিলিস্তিন (২০১৮), সংযুক্ত আরব আমিরাত (২০১৯), রাশিয়া (২০১৯), মালদ্বীপ (২০১৯), বাহরাইন (২০২০), আমেরিকা (২০২০), ভুটান (২০২১), ফিজি (২০২৩), পাপুয়া নিউগিনি (২০২৩), মিশর (২০২৩), ফ্রান্স (২০২৩) ও গ্রিস (২০২৩)।