শফিকুল ইসলাম, নদিয়া: করোনার মহামারীর কারণে গত দু’বছর কোনও উৎসব সেরকম ভাবে পালন করতে পারেননি নদিয়ার মুসলিম বাসিন্দারা। এবার সংক্রমণের প্রকোপ অনেকটাই কমার ফলে সরকারি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে৷ সেই কারণে ঈদ উৎসব পালন করার জন্য এবার আশায় বুক বেঁধেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু বাদ সাধল প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
নদিয়ার হাঁসখালি থানার বড়চুপড়িয়া গ্রাম। সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার আগের এই গ্রামে প্রচুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। রয়েছে ইদগাহ। বৃষ্টি মাথায় করে সকাল সকাল সেখানে মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ একসঙ্গে ঈদের নামায আদায় করেন। নামাযের পর একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বলা যায় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ঈদের উৎসবে মেতে ওঠেন রামনগর বড় চুপড়িয়া ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বড়চুপড়িয়া গ্রাম গ্রামের বাসিন্দারা।
সোমবার গভীর রাত থেকেই নদিয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। সেই কারণে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সকালে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ।সামিল হয়েছিল ছোটরাও৷ একই দৃশ্য দেখা গেল নদিয়ার অন্য শহর ও গ্রাম এলাকাতেও। কিছুদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। গোটা চৈত্র মাস এবং বৈশাখ মাসের শুরুর দিকে সেভাবে দেখা মেলেনি কালবৈশাখীর।
বৃষ্টি না হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালীন ফল ও সবজির ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের পড়তে হয়েছে লোকসানের মুখে।
প্রসঙ্গত, আজ ঈদ উৎসবের পাশাপাশি দিল অক্ষয় তৃতীয়াও। সকাল থেকেই বিভিন্ন দোকানে লক্ষ্মী গণেশের পুজো হচ্ছে। তবে সোমবার গভীর রাত থেকেই জেলায় আকস্মিক বৃষ্টির কারণে ঈদের পাশাপাশি অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবেও পড়েছে ভাটা। গত দু’বছর করোনা মহামারীর কারণে সেভাবে উৎসব পালন করা হয়নি। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছিল বিভিন্ন বাজার হাট এলাকায়। এবার মহামারী কমার ফলে বাজার হাট চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে চিন্তার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে একাধিক ব্যবসায়ীর মনে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হতে দেখা গিয়েছে।