পুবের কলম প্রতিবেদক: সামনে পবিত্র রমযান মাস। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই রমযানেই বহু মুসলিম ফুটবলাররা রোযা রেখেই মাঠে খেলতে নামেন। খেলার মধ্যে ইফতারের সময় হয়ে গেলে অনেকেই অপেক্ষা করেন, ম্যাচের হাফ টাইম অথবা শেষ হওয়ার অপেক্ষায়। এদের মধ্যে অনেকেই আবার খেলার মধ্যে মাঠের সাইড লাইনে বসে এক টুকরো খেজুরের সঙ্গে একটু জল খেয়ে ইফতার করে নেন। তবে এবার থেকে সেই সব মুসলিম ফুটবলারদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগসহ ইংল্যান্ডের শীর্ষ চার লিগ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রমযান মাসে রোযা করে মাঠে খেলতে নামা মুসলিম ফুটবলারদের ইফতারের জন্য বিরতি দিতে হবে।
বর্তমান সময়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ফুটবলার রোযা রেখেই ম্যাচ খেলেন। এ ব্যাপারে সবার ওপরে নাম রয়েছে জার্মানির মেসুট ওজিল, বায়ার্ন মিউনিখের সাদিও মানে, লিভারপুলের মুহাম্মদ সালাহ, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির আলজেরিয়ান তারকা রিয়াদ মাহরেজ, চেলসির ফরাসি তারকা এনগোলো কন্তের। এর আগে প্রিমিয়ার লিগের হয়ে খেলার সময় এদেরকে রোযা রেখে ম্যাচ খেলতে দেখা গিয়েছে। ইফতারের সময় তাদেরকে খেলার মধ্যেই সামান্য কিছু খেয়ে আবারও ফুটবল দখলের লড়াইয়ে নামতে দেখা গিয়েছে। যদিও ম্যাচের মধ্যে রোযা রাখা ফুটবলারকে ইফতারের জন্য আগে থেকেই রেফারির অনুমতি নিতে হত। তবে এবার আর রেফারির কাছে কাউকে অনুমতি নিতে হবে না ইফতার করার জন্য।
ইপিএলে এর আগেও বহুবার দেখা গিয়েছে, ফুটবলারদের ইফতারের জন্য খেলা বন্ধ রেখেছেন রেফারিরা। তবে এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে রোযা রাখা ফুটবলারদের ইফতারের জন্য খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল ইংল্যান্ডের শীর্ষ চার লিগের কর্তৃপক্ষকে। এদিন এক বিবৃতিতে প্রিমিয়ার লিগ ও লিগ কাপের রেফারিদের জানানো হয়েছে, রোযার সময় ম্যাচের মধ্যে খেলোয়াদের ইফতার করার সুযোগ করে দিতে হবে। ইফতারের সময় হলে গেলে গোলকিক, থ্রো-ইন কিংবা অন্য কোনো নিয়মমাফিক বিরতির মাধ্যমে খেলোয়াড়রা বিরতিতে যেতে পারবেন। সন্ধ্যাবেলা শুরু ম্যাচে ইফতারের সময় হওয়ার পর অফিশিয়ালরা যেন খেলা থেমে যাওয়ার সময় খেলোয়াড়দের ইফতারের সুযোগ করে দেয়। একই সঙ্গে রোযায় থাকা খেলোয়াড়দের পানীয়জাতীয় খাবার বা এনার্জি জেল খেতে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, দু’বছর আগে ইপিএলে ক্রিস্টাল প্যালেস ও লেস্টার সিটির ম্যাচ থামিয়ে খেলোয়াড়েরা রোযা ভেঙেছিলেন। সে ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় ইফতারের সময় হতে ক্রিস্টাল গোলকিপার ভিসেন্তে গুয়াতা কিক নিতে দেরি করেন, যাতে মাঠের মুসলিম ফুটবলাররা রোযা ভাঙার সুযোগ পান।