পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির দাবি জানালেন অভিযুক্তের বাবা। কড়া ভাষায় তিনি জানান, পুলিশের গুলি করে মারা উচিৎ ছিল। এই ধরনের দোষীদের ক্ষমা হয় না। অভিযুক্তের বাবা বলেন, নির্যাতিতার জায়গায় যদি আমার সন্তান থাকত, তবে আমি একই দাবি করতাম। যারা এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আমার সন্তান হোক বা অন্য কারোর, যারা এই ধরনের অপরাধ করে, তাদের গুলি করা বা ফাঁসি দেওয়া উচিত।”
তিনি জানান, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পরই ছেলের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। অপরাধ স্বীকার করলেও, নিরুত্তাপ ছিল অভিযুক্ত। ওই ব্যক্তিকে ছেলেকে আত্মসমর্পণও করতে বলেন, কিন্তু বাবার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। চুপচাপ সে নিত্যদিনের কাজই করে যাচ্ছিল পুলিশের গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, “ও আমার সন্তান, আমি সবসময় পাশে থাকব। কিন্তু কার মাথায় কী চলছে, তা তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তবে ওকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। ওই মেয়েটি তো আমার মেয়ে হতে পারত। যদি আমি ছেলের জায়গায় থাকতাম, তবে অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মাথা পেতে নিতাম’।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে এক অটোচালককে গ্রেফতারের জানান উজ্জয়িনীর এসপি সচিন শর্মা। অটোর আসনে রক্তের দাগ মিলেছে। অটোচালকের পাশাপাশি আরও পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূলত ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্যই জীবন খেরি এলাকায় ভরতকে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই সে পালানোর চেষ্টা করে।
উজ্জয়িনীর মহাকাল থানার স্টেশন ইন-চার্জ অজয় বর্মা জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতার জামাকাপড় উদ্ধার করতে অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। সেখানে অভিযুক্ত ভরত সোনী পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে। এই সময়ে সিমেন্টের রাস্তায় পড়ে গিয়ে তার হাত ও পা জখম হয়। ঘটনায় দু’জন পুলিশকর্মীও আহত হন। পুলিশ আরও জানায়, নাবালিকা যে এলাকা থেকে অটোয় উঠেছিল তার সিসিটিভি ফুটেজ চিহ্নিত করে অটোচালক ভরতকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, ১২ বছরের কিশোরীর সঙ্গে পাশবিক ঘটনা ঘটায় অটোচালক ভরত। ঘটনার দিক ছেঁড়া পোশাক পরে, রক্তাক্ত গোপনাঙ্গ নিয়ে সাহায্যের জন্য স্থানীয় কাছে যায় নির্যাতিতা। কিন্তু কোনও সাহায্যের হাত এগিয়ে আসেনি। বুধবারই ধর্ষণের ঘটনাটি সামনে আসে। ১২ বছরের ওই কিশোরীকে অটোর মধ্যে ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরী সাহায্যের আশায় ৮ কিলোমিটার হেঁটেছিল। পরে এক পূজারি তাঁকে আশ্রয় দেয় এবং পুলিশে খবর দেন। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে অটোচালক ভরত সোনীকে।