পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান দেশের মহিলাদের কথা দিয়েছিলেন, তারা যদি চারের বেশি সন্তান জন্ম দেন তাহলে তাদের আর কখনও আয়কর দিতে হবে না। মূলত আজ থেকে চার বছর আগে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে এই ঘোষণা করেছিলেন ভিক্টর। দেশের জনসংখ্যা তারপর থেকে তেমন বাড়েনি ঠিকই কিন্তু আজও সেই নিয়ম চালু রয়েছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, অভিবাসীদের ওপর নির্ভরতা কমাতে এটি হাঙ্গেরির ভবিষ্যৎ রক্ষার একটি উপায়। হাঙ্গেরির ডানপন্থী সরকার বরাবরই মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জানা যায়, হাঙ্গেরির জনসংখ্যা প্রতি বছর ৩২ হাজার করে কমছে এবং হাঙ্গেরির নারীদের সন্তান সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর গড়ের তুলনায় কম। জনসংখ্যা বাড়াতে হাঙ্গেরি সরকারের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী তরুণ দম্পতিদের বিনা সুদে এক কোটি ফরিন্ট (৩৬ হাজার ডলার) ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। মূলত, সন্তান নিতে আগ্রহ তৈরি করতে এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল হাঙ্গেরির সরকার। ভিক্টর ওরবানের কথায়, ‘ইউরোপের জন্মহার কেন কমছে—এ প্রশ্নের উত্তর হল অভিবাসন।’ তিনি বলেন, আমাদের একজন নারীও সন্তান নিচ্ছে না, তবে একজন অভিবাসী চলে আসছে। সব মিলিয়ে জনসংখ্যা ঠিক রয়েছে। তবে হাঙ্গেরির মানুষ ভিন্নভাবে চিন্তা করে। আমরা সংখ্যায় বিশ্বাসী নই, আমাদের হাঙ্গেরীয় শিশু চাই।’ এদিকে হাঙ্গেরির জনসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলো হল আগামী কয়েক বছরে বছরে ২১ হাজার নার্সারি তৈরি, দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত আড়াই বিলিয়ন ডলার ব্যয়, আবাসনে ভর্তুকি ও গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ সুবিধা।