পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : সমাজে একের পর এক নারকীয় ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। বিশ্বাস, সম্পর্কের পরিণতি যে এত বিভীষিকাময় হতে পারে, তা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ড। যেখানে শ্রদ্ধাকে খুন করে তার দেহের ৩৫টি টুকরো করতে হাত কাঁপেনি আফতাবের। মহারাষ্ট্রের একটি ঘটনা ফের বিশ্বাসের নামে বিশ্বাসঘাতকতার কদর্য চেহারাকে সামনে আনল।
যেখানে স্বামীকে খুন করে তার স্ত্রী। তিন মাস পরে মেয়ে জানতে পারেন তার বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে মা তার বাবাকে খুন করেছে। ফোনের একটি কল রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমেই অভিযুক্ত রঞ্জনা রামটেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে ১৫০ কিমি দূরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিনমাস পরে স্বামী খুনে তার স্ত্রী রঞ্জনা রামটেকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ঘটনার তিনমাস পরে সত্যি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে একটি ফোনের অডিও রেকর্ডিংয়ের হাত ধরে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলা তার প্রেমিককে ফোন করে জানান স্বামীকে খুনের কথা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম রঞ্জনা রামটেকে। গত ৬ আগস্ট রঞ্জনা তার স্বামীকে হত্যা করে। রঞ্জনার স্বামী একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ছিলেন। স্বামী ঘুমিয়ে থাকার সময় এই কাণ্ড ঘটায় রঞ্জনা। ঘটনার পর পরই স্বামীকে খুনের কথা ফোন করে প্রেমিকাকে জানিয়েছিলেন রঞ্জনা। ফোনের সেই অডিও অনুযায়ী রঞ্জনার প্রেমিকের সঙ্গে কথোপকথন ছিল, ‘আমি বালিশ চেপে ধরেছিলাম মুখে। সকালে আত্মীয় স্বজনকে ফোন করে জানাই, স্বামী মারা গেছে। আমি বলেছি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, পরের দিন সেই মতো অভিযুক্ত রঞ্জনা ফোন করে তার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ দেয়। তার কথায় কেউ সন্দেহ করেনি। পরের দিন স্বামীর দেহ দাহ করা হয়। সব কিছুই পরিকল্পনা মাফিকই চলছিল, বাদ সাধল তার মেয়ে।
ঘটনার তিন মাস পরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসেন রঞ্জনার মেয়ে শ্বেতা। কথা বলার জন্য মায়ের ফোনটি নেয় শ্বেতা। এর পরেই সে ফোন ঘাঁটতে গিয়ে মায়ের সেই রেকর্ডিংটি খুঁজে পায় সে। এর পরে এই সমস্ত কিছু তথ্য পুলিশকে জানান শ্বেতা। স্বামীকে খুনে গ্রেফতার করা হয় রঞ্জনা রামটেকে। পুলিশ জানায়, শ্বেতা পুলিশের কাছে রঞ্জনা ও তার প্রেমিক মুকেশ ত্রিবেদীর অডিও তুলে দেন। পরে রঞ্জনা ও মুকেশ দুজনেই এই অপরাধের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।