পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাহুলের নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা রাজস্থান থেকে হরিয়ানায় প্রবেশ করেছে বুধবার। গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই যাত্রা ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিজেপি রাহুলের এই পদযাত্রাকে বেশ ভয় পেতে শুরু করেছে এবং নানাভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তাতে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের উদ্দীপনায় কোনও ভাটা পড়েনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ইতিমধ্যেই কোভিড বিধি নিয়ে ভয় দেখিয়েছেন রাহুলকে। তবে রাহুলের স্পষ্ট বার্তা, আমরা একটি নির্দিষ্ট আদর্শের মানুষদের সুবিধা দেখি না শুধু। আমরা সাধারণ জনতা, দরিদ্র কৃষক ও মজুরদের হয়ে আওয়াজ তুলছি। তার মতে, দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও বেরোজগারিই সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিজেপির আমলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। রান্নার গ্যাস, পেট্রোলের দাম আকাশছোঁয়া। বেকারত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বেশিরভাগ যুবক।
বিজেপির অন্দর থেকে নানাভাবে তার পদযাত্রায় বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা এই যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাদের উদ্দেশ্যে এদিন কটাক্ষ-বাণ ছুড়ে দিয়ে রাহুল বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খুলতে এসেছি। এই যুদ্ধ নতুন নয়। এটা ২১ শতকের লড়াই। রাহুল এই পদযাত্রা থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলেছেন। বিদ্বেষকে পরাজিত করে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিশিষ্টদের অনেকেই এই পদযাত্রায় শামিল হচ্ছেন।
রঘুরাম রাজন, মেধা পাটেকর, স্বরা ভাস্কর, পূজা ভাট, রিয়া সেন, রেশমি দেশাই, অমল পালেকর, বক্সার বিজেন্দ্র সিং প্রমুখ বিশিষ্টজন ভারত জোড়ো পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারি থেকে রাহুলের নেতৃত্বে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। তামিলনাড়ু, কেরল,কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান পেরিয়ে যাত্রা এখন হরিয়ানায়। কন্যাকুমারি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা গিয়ে শেষ হবে কাশ্মীরে।