পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ নর খাদককে খোঁজার সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পালামুর জঙ্গলে ৫০ টিরও বেশি ট্র্যাপ ক্যামেরা, একটি ড্রোন ও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে ঝাড়খন্ড বন বিভাগের আধিকারিকরা। পালামুর ঘাতক চিতাবাঘের থাবায় এখনও পর্যন্ত ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘাতক চিতার আতঙ্কে ঘরবন্দী শিশুরা। বাড়ি থেকে বেরোনোর সাহস দেখাচ্ছেন না বড়রাও। ক্যামেরা, ড্রোন এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও এখনও পর্যন্ত ওই ঘাতক চিতার সন্ধান পাচ্ছেন না বন দফতরের কর্মীরা। তাই খাঁচা বন্দী করতে এবার হায়দ্রাবাদের বিখ্যাত শিকারী নবাব শাফাত আলি খান এর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বন্য, হিংস্র পশুদের শিকার ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিখ্যাত শাফাত আলি খান।
ঝাড়খণ্ডের রামকান্দা, রাঙ্কা ও ভাণ্ডারিয়া ব্লকের ৫০ টিরও বেশি গ্রামে চিতাবাঘের আতঙ্কে ঘরের বাইরে পা রাখার সাহস পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। বিশেষ কাজে বাইরে বেরোলেও সূর্যাস্তের পর যাতে কেউ বাইরে না বেরোয় তেমন প্রচারও চালানো হয় বন বিভাগের তরফ থেকে।
রামকান্দা ব্লকের একজন কৃষক রবীন্দ্র প্রসাদ বলেছেন, ‘চিতার ভয়ে আমরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। মহিলা ও শিশুরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। সন্ধ্যা নামলে কারফিউ এর মত পরিস্থিতি হয় গোটা গ্রামে।’
গাড়োয়া বন বিভাগ বৃহস্পতিবার ওই রাজ্যের চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেনের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সেখানে চিতাবাঘটিকে নর খাদক ঘোষণা করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি নবাব শাফাত আলী খান, প্রাক্তন বিধায়ক গিরিনাথ সিং সহ মোট তিনজন শিকারির নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিখ্যাত শিকারিরা চিতাটিকে ধরতে সাহায্য করবেন।
রাজ্যের চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন শশীকর সামন্ত জানিয়েছেন, চিতাটিকে শান্ত করে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। আর এই কাজ করতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য প্রয়োজন। তাই এই কাজের জন্য নবাব শাফাত আলি খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কারণ শাফাত আলি শুধু যে বিশেষজ্ঞ তাই নয়, তাঁর কছে সর্বাধুনিক ষন্ত্রপাতিও রয়েছে। জানুয়ারির শুরুতেই শাফাত আলি আসতে পারেন চিতাটিকে খাঁচাবন্দী করতে। তিনি আরও বলেন যে, চিতাটিকে ধরার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু যদি তাকে কোনোভাবেই বন্দী না করা যায়, তাহলে বাধ্য হয়েই তাকে মেরে ফেলতে হবে। গতবছর ১০-১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই ঘাতক চিতাবাঘটি ৬ বছরের দুজন ও ১২ বছরের এক নাবালিকাকে হত্যা করেছে। ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।