পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিপুল উৎসাহ ও ত্যাগের মহিমায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশকিছু দেশে উদযাপিত হল মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতেও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার সকালে সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার, ওমান, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইন্সে ঈদের নামাযের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সউদি বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ বিন সালমান ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানও।
ত্যাগের ঈদ উপলক্ষে ইসলামিক দেশগুলির নাগরিকদের মোবারকবাদ জানিয়েছেন মুসলিম নেতাগণ। হিজরি বর্ষপঞ্জিতে শেষ মাস যিলহজের দশম দিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎসব ঈদুল আযহা। এবছর করোনা মহামারির আঘাত সামলে বিভিন্ন দেশে অনেকটাই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন মুসল্লিরা। খোলা পরিবেশে খোলা মনে হয়েছে ঈদের জামাত। মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে প্রথম সারিতে ঈদের নামায আদায় করেছেন সউদির আমির ও শেখরা।
এবছর পবিত্র মসজিদুল হারামে ঈদের নামায পড়ান ও খুতবা দেন কুরআনের প্রসিদ্ধ ক্কারি প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও সুমধুর কণ্ঠের অধিকারী শায়খ ড. আধুল্লাহ আওয়াদ আল-জুহানি। আর মসজিদে নববিতে নামায পড়ান প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও প্রসিদ্ধ ইমাম শায়খ ড. আধুল বারি আল-থুবাইতি। এদিকে ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের সামনে ঈদের নামাযে শামিল হন ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের মুসল্লিরা। গত বছর মৌরিতানিয়া, মরক্কো, ওমান এবং তিউনিসিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে করোনার কারণে ঈদের জামাত বাতিল করা হয়েছিল। এবার সেসব দেশেও উৎসবের আমেজে ঈদ উদযাপিত হয়েছে।