পুবের কলম প্রতিবেদক: পূজোর আগেই এবার হয়তো কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাতে পড়তে চলেছে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য পদ্মার ইলিশ।আর ইলিশ আসার খবরে বেশ চনমনে ইলিশপ্রেমীরা। প্রসঙ্গত দেশীয় বাজারে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ইলিশ রফতানিতে রাশ টেনেছে বাংলাদেশ। তাই বর্ষার সময় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ ইলিশ অবশ্য আসে, কিন্তু তাতে এ রাজ্যের চাহিদা মেটাতে মেটে না। কিন্তু পুজোর সময় পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে এই রফতানিতে ছাড় দিচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের পর ইলিশ প্রাপ্তির খবরে খুশি কলকাতাবাসী।
আর মাত্র কয়েক দিন। তার পরই এ রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে উৎসবের মরসুম। উৎসবের মরসুমে বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য পাতে যদি ইলিশ না পড়ে, তাহলে তা যেন কিছুটা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই পুজোর আগে ভারতে ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপুর মুনশি সম্প্রতি একটি বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুজোর আগে পাঁচ হাজার টন ইলিশ রফতানি করবে শেখ হাসিনার সরকার।
এর একটি বড় অংশ পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে। তবে এর একটা অংশ আমেরিকা ও ইউরোপে বসবাসকারী বাঙালিদের জন্যও পাঠানো হবে।
বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ইলিশ রফতানিতে রাশ টেনেছে হাসিনা সরকার। তাই বর্ষার সময় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ ইলিশ অবশ্য আসে, কিন্তু তাতে এ রাজ্যের চাহিদা মেটাতে মেটে না। কিন্তু পুজোর সময় পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে এই রফতানিতে ছাড় দিচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। গত বছরের মতো এ বছরও পুজোর আগে ইলিশ আসবে ভারতে।
বাংলাদেশে কয়েক বছর আগেও যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যেত, এখন তা কিছুটা হলেও কমেছে। সাগরে ইলিশ মিললেও নদীতে ইলিশের ঝাঁকের দেখা তেমন একটা মেলেনি। সাগরের নোনা জল থেকে ইলিশ নদীর মিষ্টি জলে এসে কদিন কাটালে, তার স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। নদীতে মাছ কম পাওয়া যাওয়ায় বাংলাদেশেও ইলিশের দাম অন্যান্য বারের থেকে বেশি। তা সত্ত্বেও এ পারের ইলিশপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে ইলিশ রফতানি করছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় বেশ নগন্যও। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, তসারা বছর আমরা এক ছটাকও ইলিশ রফতানি করিনি। শুধু এই ১৫ দিন বা এক মাসের জন্য কিছু ইলিশ রফতানি করা হবে।