পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মন্দিরের সাধুর সঙ্গে বিজেপি বিধায়কের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ।ফলস্বরূপ মর্মান্তিক পরিণতি।উদ্ধার সাধুর ঝুলন্ত দেহ।অভিযোগের আঙুল বিজেপি বিধায়কের দিকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভিনমল নামক স্থানে।
মূলত মন্দিরের সার্বিক দায়িত্বে ছিল ওই সাধু।দীর্ঘদিন ধরের ভিনমলের বিজেপি বিধায়ক পুরারাম চৌধুরীর সঙ্গে মন্দিরের ওই সাধুর বচসা চলছিল।এরপর এই পরিণতি।
সূত্রের খবর, রবিনাথ নামক বছর ৬০ এর ওই সাধুকে মন্দির লাগোয়া জমি তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন পুরোরাম নামক ওই বিজেপি বিধায়ক।তাঁর ইচ্ছা ছিল মন্দির লাগোয়া ওই জায়গায় একটি রিসোর্ট বানাবেন।এই জমি দিতে নারাজ ছিলেন ওই সাধু।তাই গত ৫ মাস ধরে ওই সাধু ও মন্দিরের কাজে নিযুক্ত থাকা বাকি সদস্যদের নানান ভাবে হেনস্থা করতে থাকে পুরোরাম।এরপর এদিন গুজরাতের , জালোরের রাজাপুরা গ্রামে একটি গাছে ওই সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর ,ঘটনাস্থলে পৌঁছানর পর তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আশ্রমের অন্য সাধুরা।উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।এরপর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই অন্য সাধুরা পুলিশকে ঘিরে ধরে দাবি তোলেন, সেই সুইসাইড নোটের বক্তব্য যেন ফাঁস না করা হয়। পুলিশ সেই দাবি মেনে নিয়েছে। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযোগের মামলা দায়ের হলেও তাঁকে এখনও পর্যন্তও গ্রেফতার করেনি স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গতও, রবিনাথ নামক ওই সাধুর কাছ থেকে যেই সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে তাতে জমি সংক্রান্ত বিবাদের কথা এবং ওই বিজেপি বিধায়কের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করে গিয়েছিলেন ওই সাধু।