পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দুই কন্যার ঝুলন্ত মৃতদেহ ঘিরে খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর। একটা সময় মন্ত্রী ছেলের কৃষককে পিষে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল লখিমপুর খেরি। ফের দুই দলিত কন্যার ঝুলন্ত দেহ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত একজনের বয়স ১৭ বছর ও অন্যজনের বয়স ১৫ বছর। লখিমপুরের নিগাসান থানা এলাকার একটি গাছ থেকে এলাকার একটি গাছ থেকে তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুই নাবালিকা সম্পর্কে দুই বোন হয়। মায়ের অভিযোগ, তার দুই মেয়েকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ তার দুই মেয়েকে অপহরণ করে বাইকে করে নিয়ে যায়।
দুই নাবালিকা সম্পর্কে দুই বোন৷ তাদের মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, কয়েকজন যুবক বাইকে করে ওই নাবালিকদের অপহরণ করেছিল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুহেল, জুনায়েদ, হাফিজুল রহমান, করিমুদ্দিন ও আরিফ নামের ৫ যুবককে। অভিযোগের ভিত্তিতে খুন, ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রধান সঞ্জীব সুমন সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়েছে, দুই নাবালিকাকে একটি আখ খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে সুহেল ও জুনায়েদ৷ সুহেল ও জুনায়েদের সঙ্গে দুই বোনের বন্ধুত্ব ছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ অফিসার লক্ষ্মী সিং জানিয়েছেন, দুই জনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে। দুজনের গলা ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ২০১৪ সালে বাদুয়ানের একই ঘটনা ঘটেছিল৷ যেখানে দুই বোনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল।
দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় গ্রামবাসীরা৷ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব৷ তাঁর কথায়, যোগী আদিত্যনাথের সরকারে মা বোনেদের ওপর রোজ অত্যাচার চলছে৷ সরকার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিক৷
প্রাথমিকভাবে অনুমান, দুই নাবালিকা বিয়ের জন্য চাপাচাপি করেছিল তার জন্যই শ্বাসরোধ করে এই খুন। পরে করিমুদ্দিন ও আরিফ দুজনে এসে খবরটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করে। দেহ দুটি গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে দিয়ে খুনকে আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
মৃত দুই বোনের বাবা বলেছেন,nবুধবার তার দুই মেয়ে ঘরের বাইরে গবাদি পশুদের জন্য খড় কাটতে গিয়েছিল। সেই সময় তিনটি বাইক নিয়ে এসে তার দুই মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে আমার দুই মেয়ের গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। প্রিয়াঙ্কা ট্যুইট করে লেখেন, হৃদয় বিদারক ঘটনা। প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় ও টিভিতে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয় না। কেন উত্তরপ্রদেশে নারীর প্রতি জঘন্য অপরাধ বাড়ছে? বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, দুষ্কৃতীরা রাজ্যে দিনেদুপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারণ সরকার তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছে’। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশে বাদুয়ানে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আরও একবার।