পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আরও একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য মারাত্মক চাপের মুখে রয়েছে ইসরাইল। তবে হামাস বলছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানো না হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে তারা।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি আরও এক দিন পিছিয়েছে। এদিকে, ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইসরাইল ৪০ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল হামাসকে।
কিন্তু হামাস তাতে রাজি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ইসরাইলি প্রস্তাব নিয়ে বর্তমানে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে মিশরে রয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন, আর দরকার আরও মানবিক সহায়তা। এই প্রথমবারের মতো গাজার আরেক সংগঠন ইসলামিক জিহাদকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছে।
তারা জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় আটক প্রায় ১০০ জনের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনি বন্দিতে মুক্তি দিতে হবে। আলোচনার সঙ্গে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, ‘হামাস মানবিক বিরতি চায় না। তারা গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের পূর্ণ অবসান চায়।’ হামাস মনে করে, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলে ইসরাইল আরও নৃশংস হামলা চালাবে। কাজেই ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকার। এদিকে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান শেখ সালেহ আল-আরোরি বলেছেন, ইসরাইলি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হামাসের সংকল্প গাজার সুড়ঙ্গ ও ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী।
তাই হামাসকে কখনই ধ্বংস করতে পারবে না ইসরাইল। হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতা শেখ সালেহ আল-আরোরি। হামাসের এই নেতা বলেন, ‘৭ অক্টোবরের অভিযান নতুন ঘটনা নয়। এটা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা অর্জন এবং বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো নিজেদের রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বাঁচার লড়াইয়ের অংশ। এটি ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের আরেকটি পর্যায়।’
এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহু ও তার সরকারের ওপর দেশে ও বিদেশে চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমেরিকাও এখন ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। অসামরিক মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার। মিশর ছাড়াও ইউরোপেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সমঝোতায় পৌঁছানো বেশ কঠিন বলে মনে হচ্ছে। কারণ গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল।